আওয়ার ইসলাম : মাসিক মঈনুল ইসলামের নির্বাহী সম্পাদকের পদসহ দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সব দায়িত্ব থেকে মাওলানা মুনির আহমদকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
গতকাল (সোমবার) বিকেলে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যহতি দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে মাওলানা মুনির আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমাকে দুই দিনের সময় দিয়ে মঈনুল ইসলামের সব হিসেব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। আমি গতকাল সোমবার দুপুর নাগাদ হিসেব এবং বিকেলে অফিস বুঝিয়ে দেই।
হিসেব বিভাগের প্রধান মাস্টার মুহাম্মদ রফিক, মাওলানা আবু সাঈদ ও মাওলানা রাশিদুল ইসলাম তার কাছ থেকে হিসেব বুঝে নেন এবং তাদের মাধ্যমেই তিনি অব্যহতি পাওয়ার সংবাদ জানতে পারেন বলে জানান তিনি।
অব্যহতি দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে আনুষ্ঠানিক কোনো কারণ জানানো হয় নি। তবে তিনি (দ্বিধা নিয়ে) বলেন, ‘মাওলানা আনাস মাদানীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভুল বোঝাবুঝি ছিলো। আল্লামা আহমদ শফী আজগর আলী হাসপাতাল থেকে ফেরার পর অনুষ্ঠিত শুরার বৈঠকে সদস্যগণ তা মিটমাট করে দেন।’
অব্যহতি দেয়ার ব্যাপারে মাওলানা মুনির আহমদের কোনো বক্তব্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমার কাজের মূল্যায়ন আপনারাই করবেন। তবে দীর্ঘ ২৩ বছরের মায়া কিভাবে ভুলে থাকবো বুঝতে পারছি না। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।’
মাওলানা মুনির আহমদ ১৯৯৫ সালে মাসিক মঈনুল ইসলামে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০০ সালে তাকে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতী দেয়া হয়।
এছাড়াও তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমদ শফীর প্রেস সচিব হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এদিকে মাওলানা মুনির আহমদকে অব্যহতি দেয়ার বিষয়টিতে প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী পত্রিকা পরিষদ।
জঙ্গি নই, অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছি: রোহিঙ্গা সংগঠনের প্রধান