রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির ফুলপুরে জমিয়তের কমিটি গঠন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে চাই: সিইসি নাসির উদ্দীন

আর কতো দেখতে হবে এই ছবি!!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রোকন রাইয়ান: হ্যাঁ চোখ দিয়ে রক্তই গড়িয়েছে, অশ্রু নয়। কেউ কেউ তারও বেশি রক্তকান্নায় বুক ভাসিয়েছেন। একজন শিশুর এ অমানবিক চিত্র যে তারা সইতে পারেননি।

ফেসবুক-টুইটার জুড়ে হাহাকার বইয়ে দিয়েছে অগণিত মানুষকে। ছবিটি পোস্ট করে অশ্রুমাল্য জমা রেখেছেন। হয়তো করতে চেয়েছেন আরও কিছু। কিন্তু বিশ্বপরিস্থিতির এই সময়ে তাদের হয়তো আর কিছুই করার ছিল না।

আরাকানে রোহিঙ্গাদের উপর নতুন করে নির্যাতন শুরু হয়েছে। ফের সেখানকার মুসলিমরা হাহাকার করছে। কান্নায় ভাসছে আকাশ বাতাস। তাদের ধরে ধরে গুলি করা হচ্ছে। ছেলে কি বুড়ো, জওয়ান কি শিশু। কেউ রেহাই পাচ্ছে না। মেরে মেরে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে নদীতে।

বিশ্ব নাকি এখন অনেক মানবিক। কিন্তু তাদের চোখে এই দৃশ্য ধরাই পড়ে না। অপরাধীরা তো শান্তিতেই ঘুমুচ্ছে শিশুগুলোকে জ্যান্ত কবর দিয়ে। কোথায় সেই মানবতা?

নতুন করে মুসলিমদের উপর নির্যাতনের ফলে নিহতের সংখ্যা চলে গেছে প্রায় হাজারের কাছাকাছি। তাদের হাত নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত এক শিশুর চিত্র গতকাল এভাবেই ক্যামেরাবন্দি হলো। কিন্তু মানবতার চোখ ভাসাতে পারল না।

নাফ নদীতে ভাসতে থাকা শিশুটির পরিচয় পাওয়া না গেলেও সে তার বড় পরিচয় আমাদের সামনে রেখে গেছে- সে রোহিঙ্গা নাগরিক।

গত কদিন ধরেই সেনাবাহিনীর সহিংসতার মুখে প্রাণ বাঁচাতে হাজারো রোহিঙ্গা ছুটে আসছে বাংলাদেশে। নাফ নদী পাড়ি দিয়ে তারা উঠছে টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্টে।

এর আগে গত অক্টোবরে রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার অভিযোগে শুরু হয় রোহিঙ্গা নিধন। তখন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সে সময়ও নাফ নদীর পাড়ে কাদায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় তোহা নামের এক শিশুকে।

এর আগে একই পরিণত বরণ করতে হয়েছিল আরেক সিরিয়ান শিশু আইলান কুর্দিকে। তারও কিছুদিন পর সানা নামের  আরেক শিশু। তুরস্কের পশ্চিম উপকূলে ভাসছিল তার লাশ।

মানবতা এভাবেই ধুুকে ধুকে মরছে। আমরা খেয়ালও রাখতে পারছি না।

জঙ্গি নই, অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছি: রোহিঙ্গা সংগঠনের প্রধান


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ