শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

খুলনায় ইশা ছাত্র আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পৃথক আয়োজন কৌশল ছিলো, বিভেদ নয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শেখ ফজলুল করীম মারুফ : সম্প্রতি মিডিয়ায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার পৃথক আয়োজন নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ এটা দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দ্বন্ধ ভেবে কষ্ট পাচ্ছেন বলে জানতে পারলাম। সবার জ্ঞাতার্থে বলছি, খুলনা জেলা উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার একই সময়ে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা কৌশলের অংশ ছিলো।

গত বছর ২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্মেলন কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজন করা হয়েছিলো। জেলা ও শাখাগুলোতে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আয়োজনের চাহিদা থাকলেও গত বছর কোথাও আলাদা করে অনুমতি দেয়া হয়নি।

এই বছর ২৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনে আমরা প্রতিটা শাখাকে আলাদা আলাদা করে আয়োজন করার কথা বলেছি। এমনকি প্রতিটা থানা শাখাকেও আলাদা করে আয়োজন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে আলহামদুলিল্লাহ আমাদের প্রতিটা জেলা শাখাই আলাদা আলাদা করে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

গত শুক্রবার আমি চট্টগ্রাম মহানগরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আয়োজনে ছিলাম। একই দিনে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিন জেলাতে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আয়োজন হয়েছে।

চরমোনাই আলিয়া ও কওমি শাখা একই ক্যাম্পাসে আলাদা করে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আয়োজন করেছে। এভাবে দেশের প্রতিটা শাখাই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে করেছে।

এই ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনে শাখাগুলোর মাঝে পরস্পর সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিলো। কাদের আয়োজন সুন্দর হয়, কাদের আয়োজনে উপস্থিতি বেশি হয় ইত্যাদি নিয়ে মধুর প্রতিযোগিতা ছিলো।

খুলনার আয়োজন এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন ছিলো এবং তাদের মাঝে এই সুস্থ প্রতিযোগিতাও ছিলো।

পাশাপাশি দুই শাখার সভাপতি আমার কাছে এসেই যার যার আয়োজনের শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করছিলো। ছবি দেখিয়ে আমাকে বিচারক মানছিলো! আমি দুইজনকেই বুকে জড়িয়ে প্রত্যেকের শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিয়েছি। তখন তাদের মাঝে যে আনন্দ আর উদ্দীপনা দেখেছি তা বিপ্লবের আশা জাগায়।

এখন এই ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন, এই প্রতিযোগিতা, উর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে এই মধুর দাবীকে কেউ যদি বিভেদ হিসেবে দেখে তাহলে তার জন্য আমাদের দোয়া করা ছাড়া আর কি-ই বা করার থাকে!!

রাসুলুল্লাহ সা. কে একবার আবু জাহাল বলেছিলো, ‘মুহাম্মাদ! তোমার মতো কুৎসিত কাউকে আমি দেখি নাই।’
রাসুল সা. বললেন, ‘আপনি সঠিক বলেছেন’।

খানিক পরে আবু বকর রা. এসে রাসুল সা. কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল সা! আমি আপনার চেয়ে সুন্দর কাউকে দেখি নাই।’ রাসুল সা. বললেন, ‘তুমি সঠিকই বলেছে’।

তখন সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি উভয়কেই সঠিক বললেন?’ রাসুল সা. জবাব দিয়েছিলেন, ‘যার মনের অবস্থা যেমন, আমাকে সে তেমনই দেখে’।

অতএব ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন কারো কারো কাছে ‘বিভেদ’ বা ‘ফেৎনা’ মনে হতে পারে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নাই।

তবে সত্যান্বেষীদের জন্য আমি পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েই বলছি, খুলনার ভিন্ন আয়োজন ‘ফেতনা’ বা ‘বিভেদ’ নয়। এই ভিন্ন আয়োজন আমাদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাস্তবায়ন ছিলো।

খুলনার মাটি ফেতনার ঘাঁটি

লেখক : কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ