শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


সকালে রাজধানীতে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি; রাস্তায় ভোগান্তি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সকাল থেকে টানা তিন ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যা গতকাল (সোমবার) দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের প্রায় দ্বিগুণ।

মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, সোমবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সৈয়দপুরে ৩৮ মিলিমিটার। বৃষ্টির এ ধারা সারাদেশে নেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে এ বৃষ্টি হচ্ছে।

২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দম্কা হাওয়াসহ হাল্কা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দূর্বল লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দূর্বল থেকে মাঝারী অবস্থায় বিরাজ করছে।

অফিসগামী মানুষের ভোগান্তি

এদিকে মুষলধারে বৃষ্টি ও তীব্র যানজট নিয়ে শুরু হয়েছে রাজধানীবাসীর সকাল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলমুখী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ভোগান্তি উপেক্ষা করে রেইনকোট ও ছাতা মাথায় যার যার গন্তব্যস্থলে রওনা দিতে দেখা যায় মানুষকে।

আজ মঙ্গলবার পৌনে ৭টা থেকে রাজধানীতে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। সাড়ে ৮টার পর কখনো মুষলধারে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে থাকে। নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলজট। ফলে দেখা দেয় তীব্র যানজট। এতে অফিসগামী মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় যানজটে পড়ে থাকায় পায়ে হেঁটে যাত্রীরা গন্তব্যস্থলে রওনা দেন।

দিনের শুরুর এই বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর ১০, মিরপুর ১২, পল্লবী, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, চিড়িয়াখানা রোডসহ বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানি জমেছে। এ ছাড়া বিজয় সরণি, সংসদ ভবন এলাকা, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজারেও পানি জমে থাকতে দেখা যায়।

এই এলাকাগুলোতে অফিস-আদালতগামী মানুষকে পানির ওপর দাঁড়িয়ে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। প্রতিটি স্থানে ছিল পরিবহনে দীর্ঘ জট।

অফিসে যাওয়ার আগ মুহূর্তের বৃষ্টিতে কর্মস্থলে পৌঁছতে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তি পড়েছেন। যানজটের ভোগান্তি সইতে না পেরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে চলতে গিয়েও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। পানির নিচে থাকা খানাখন্দের কারণে সড়কগুলোতে হাঁটতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে ছোট-খাট দুর্ঘটনায়। ফলে পথচারীরা চলাচল করছে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। এদিকে বৃষ্টির কারণে গণপরিবহনের সংখ্যাও ছিল কম। আর এই সুযোগে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাও ভাড়া আদায় করছে ইচ্ছেমতো।

যত বৃষ্টি তত লাভ শ্রীলঙ্কার


সম্পর্কিত খবর