শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


শাহ সিমেন্টের বিরুদ্ধে ৯০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবুল খায়ের গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে ৯০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপকরণ কেনার তথ্য গোপন, অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান থেকে কাঁচামাল ক্রয়সহ নানা কৌশলে এ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। খবর কালের কণ্ঠের

সূত্র জানিয়েছে, এনবিআরের মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সম্প্রতি শাহ সিমেন্টের ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই ফাঁকি উদঘাটন করেছে। মাত্র তিন বছরে এ বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কম্পানিটি এমন কৌশলে বছরের পর বছর ধরে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তিন বছর আগে শাহ সিমেন্টের রাজস্ব ফাঁকির আরও একটি বড় ঘটনা উদঘাটন করেছিল মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বিভাগের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)। ২০১৪ সালে এলটিইউ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ আনে।

'জন্ম, সৃষ্টির লক্ষ্যে' স্লোগান, ১০০ মাসের কোয়ালিটি টেস্ট আর ৪০% বেশি শক্তি এমন মনভোলানো প্রচারণার আড়ালে কম্পানিটি বছরের পর বছর ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে।

উৎপাদনক্ষমতার দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় কম্পানি শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরের চরমিরেশ্বরে। প্রতিষ্ঠানটি বৃহৎ করদাতা ইউনিট, মূল্য সংযোজন কর, ঢাকায় ভ্যাট নিবন্ধিত।

মূসক নিবন্ধন নম্বর ১৯২৯১০০৫০৭৩।
এনবিআর সূত্র জানায়, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কম্পানির হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির হিসাব নিরীক্ষা করা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, আবু সাঈদ চৌধুরী শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রতি ব্যাগ ৫০ কেজি ওজনের শাহ ব্র্যান্ডের সিমেন্ট স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাত করে প্রতিষ্ঠানটি।

নিরীক্ষা মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটি ১৩৩ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ২০ টাকার মূসক জমা দিয়েছে। ৩ হাজার ২৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার উপকরণ বিদেশ থেকে আমদানি ও ৫২ কোটি ৬ লাখ টাকা ৮৯ পয়সার উপকরণ স্থানীয়ভাবে ক্রয় করেছে। এতে ১১ কোটি ৩ লাখ টাকার অব্যাহতি পেয়েছে। নিরীক্ষা মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটি ৫৫৮ কোটি ১৪ লাখ টাকার রেয়াত গ্রহণ করে। নিরীক্ষা মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটি ৪ হাজার ২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সিমেন্ট উৎপাদন করেছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ