বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


এর কোনটাই কি মুসলিম সমাজে চলতে পারে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আহমদ সেলিম রেজা
অতিথি লেখক

আজ পৃথিবীতে মুসলমানদের বিপর্যয়ের কারণ কি? শুধু কুটনীতিতে মুসলমানদের দুর্বলতা, সরলতা ও সততার জায়গা! যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য ব-ই মিথ্যা বলিব না-নীতি! নাকি এরচেয়ে আরো কিছু বেশি?

রাষ্ট্র ও ক্ষমতার রশি টানাটানিতে কূটনৈতিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা দায়ী হতেই পারে? কারণ সেখানে ক্ষমতার লোভ, ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভ, নিজের সন্তানকে ক্ষমতার মালিক করে যাওয়ার লোভ সক্রিয় থাকে। আর এই সুযোগটা ভিন্ন ধর্মীরা, বিদেশী বেনিয়ারা তাদের বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক স্বার্থে নিজেদের ভেদ বুদ্ধির বিবেচনায় কাজে লাগাতেই পারে। কিন্তু মুসলিম পরিবার প্রথা, সামাজিক প্রথা, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ঠ্য দ্রুত পাল্টে যাওয়ার পেছনে কারণ কি? দায়ী কে?

শুধু রাজনীতি, কূটনীতিকে দায়ী করে পার পাওয়া যাবে কী? বাস্তব জীবনে আমরা কি দেখছি, নিজেদের ব্যক্তিগত লোভ লালসার পর্যায়টা বিবেচনা করছি না কেন? ব্যক্তিগত লোভ লালসা থেকেই তো বাড়ছে সুদ, ঘুষ, দূর্নীতি। ছড়িয়ে পড়ছে পরিবার থেকে সমাজের সর্বস্তরে। সবারই গাড়ি বাড়ি ধন দৌলত বিলাসী জীবন প্রয়োজন। আগে মুসলমান পরিবার ব্যাংকে চাকরী করাটা ভালোভাবে নিতো না। কারণ ব্যাংকে সুদের কারবারের হিসাব রাখতে হয়। আর এ বিষয়ে কঠিন শাস্তির কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। আল কোরআনে সুদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন বিষয়টা একেবারে উল্টে গেছে।

ব্যাংকের চাকরী মানে লোভনীয় বিষয়। কিন্তু কোরআনের বিধান কী বদলেছে? বদলায়নি। ঘুষ খেয়ে বড় লোক হয়েছে কী-না, দূর্নীতি করে টাকা কামিয়েছে কী-না, এসব প্রশ্ন এখন অবান্তর । বরং মসজিদ মাদরাসা এতিমখানায় সবার দানই সাদরে গৃহীত হয়। ব্যাংকের কাছে, ইনকাম ট্যাক্স অফিসে, জমি বা বাড়ি কেনার সময়- মিথ্যা তথ্য দেওয়া এখন বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।

ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে মিথ্যা বলা এখন আর্ট অব স্মার্টনেস। ওজনে কম দেওয়া, মিথ্যা কসম কাটা এখন রেওয়াজ। মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য এখন ভালো ও সৎ ছেলে কেউ খোঁজেনা। ছেলে বিয়ে করানোর জন্য ভালো পরিবার বা পরহেজগার মেয়ে কেউ খোঁজেনা। ছেলের বাড়ি আছে কী-না, মেয়ের বাবা বড় লোক কী-না, সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয়।

এর কোনটাই কী মুসলিম সমাজে চলতে পারে?
যদি চলে, তাহলে সেটা কী আর মুসলিম সমাজ থাকে? থাকে না। কারণ মুসলিম সমাজের ভিত্তি কোরআন-হাদিস তথা সুন্নাতে রাসূলুল্লাহর ওপর প্রতিষ্ঠিত। তবে অবশ্যই সেটা মানুষের সমাজ। সেই মানুষেরা আছে কোথায়, কোন সমাজে? নি:সন্দেহে ইউরোপীয় সমাজে। আমাদের এই মনুষ্য সমাজের আর্থিক ও বৈষয়িক ব্যবস্থাপনা ইউরোপীয়, পোষাক ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা ইউরোপীয়। বিয়ে ব্যবস্থাপনা খানিক ভারতীয় খানিক ইউরোপীয়। শুধু ইজাব কবুলটা খানিকটা এখনও মুসলিম এতিহ্যে রয়ে গেছে। খতনা ও আকিকার প্রচলনটাও আছে। তবে সকালে উঠে কুরআন তেলাওয়াত করার চর্চটা এখন সামাজিকভাবে নেই।

ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে যেসব পরিবারে যারা পড়তেন তাদের অধিকাংশ মুরুব্বীও আর এই পৃথিবীতে নেই। তাই তাকিয়ার উপরে সযত্নে  গিলাফ বন্ধি আল্লাহর কিতাব। অনেকে বছরে একবার রোজার মাসে কুরআন পড়তেন। কিন্তু অর্থ না বুঝে পড়লে নাকি কোন লাভ নাই-(হাদিসের ভাষ্য হলো-কুরআন তেলাওয়াত করলে সওয়াব হবে। বুঝে পড়লেও হবে, না বুঝে পড়লেও হবে) এমন ফতোয়া শোনার পর অনেকে সেটাও বাদ দিয়েছেন। তাহলে মুসলমানদের এই অবস্থার জন্য দায়ী কে? এ বিষয়ে একটা ধারনা পেতে চলুন একটু ইউরোপের খোঁজ খবর করে আসি।

ধর্মে এত বিবাদ কেনো? আত্ম কলহের নয়া ক্রুসেড ০১

বাংলাদেশের এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, দীর্ঘ দুই যুগের বেশী ইউরোপে বসবাসকারী পান্না চৌধুরী ২০১৪ সালে বাংলাভাষায় একটা বই লিখেছেন। নামটা ইংরেজী মিস্ট্রিজ অব ডিবাইন সিম্বল। বাইটার শুরু হয়েছে এভাবে, ১৯৮৪ সালের কথা। কানাডার ভ্যালকোর কাউন্টি। ভিন গ্রহের মানুষ ও রিলিজিয়াস স্ক্রিপ্টসের ওপর এক সিম্পোজিয়াম চলছিল। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থসহ পৃথিবীর তাবৎ প্রাচীন গ্রন্থের ওপর চলছিল সপ্তহব্যাপী আলোচনা সভা। সেখানে উপস্থিত এক পাদ্রী বিশপ ইউলিয়াম আমার কানে কানে বলছিলেন, ‘কাউড্রি  (চৌধুরী) হ্যাভ ইউ গন থ্রো দা কোরআন? কোরআন ইউল স্পিক টু ইউ।’ ভান করে বলেছিলাম, হোয়াটস দ্যাট? তিনি বলেছিলেন, ‘হোলি স্ক্রিপট অব দ্য মোজলেম। পাদ্রী ভেবেছিলেন আমি ক্যাথলিক ক্রিশ্চিয়ান। আমিও নিজ ধর্ম সম্পর্কে কিছু বলিনি।

এই পর্যন্ত পড়ে নিজেদের বুদ্ধি চর্চার বিষয়ে উপসংহার টানা ঠিক হবে। বরং ইউরোপের ইহুদী-খৃষ্টানরা বাংলাদেশী মুসলমানদের কিভাবে দেখেন তারও একটি বর্ণনা রয়েছে সেই গ্রন্থে। পান্না চৌধুরী লিখেছেন, ওরা আমাকে মুসলিম বলে মনেই করতো না। বলতো, ‘ইসলাম ধর্মের ফলোয়ার তুমি, কিন্তু নন-প্র্যাকটিসিং, নন কনভেশনাল বিলিভার অফ ইসলাম, দ্যাটস অল। প্রকৃতপক্ষে তুমি ইন্ডিয়ান।’ তারপর লিখেছেন, ‘এভাবেই ওরা আমাকে আমার ধর্ম সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন করে বিচার করতে শিখিয়েছেন’।

ধর্মে এত বিবাদ কেনো? আত্ম কলহের নয়া ক্রুসেড (২)

ইউরোপে থাকতে পান্না চৌধুরীর আগ্রহের বিষয় ছিল কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন বা মিস্টিসিজমের ওপর। তার একাটা ক্লোদিং ফ্যাক্টরী ছিল কানাডার মন্ট্রিলের ডি-কোর্টাই এভেন্যুতে। সেখানে পার্ট টাইম কাজ করতে আসতো বিভিন্ন দেশ থেকে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছাত্ররা। তার অফিসে ছিল বড় একটা লাইব্রেরী। সেই সুবাধে অনেকের সাথেই তার একটা সখ্য গড়ে ওঠে। এরমধ্যে ছিল সৌদি আরবের দাহরান ইউনিভার্সিটির ড. আবদুল্লাহ, আমেরিকার ডক্টও পিয়ার্সন ও ড. মাউন্ট অলিভ, শ্রীলঙ্কার ড. গজেন প্রমুখ। তবে পান্না চৌধুরীর ওপর সবচে বেশী প্রভাব বিস্তার করেছিল তার ফ্যক্টরীরর উল্টোদিকের বাড়িতে বসবাসকারী বিশিষ্ট ইহুদী পন্ডিত ডক্টর রাল্ফ। তিনি ছিলেন আরবী ভাষায় ডক্টরেট করা ব্যক্তিত্ব। পিএইচডি করেছিলেন কোয়ান্টাম মেথডে। তিনি নাসার স্পেস প্রজেক্টে চাকরী ছেড়ে এসে এখন তালিসমান রাইটার বা তাবিজ লেখক।

ড. রাল্ফের পরিবার ইসরাইলের পুরোনোপন্থী জুইশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর সময় তার পিতা ছিলেন জার্মানীতে। সেখানে ইহুদী নিধন যজ্ঞ চলার সময় রাল্ফের পিতা কানাডা মন্ট্রিলে পালিয়ে আসেন এবং এখানেই সেটেল করেন। সে যাই হোক, এদের নিয়ে প্রায়ই পান্না চৌধুরীর ওখানে আড্ডা জমতো। পান্না চৌধুরী লিখছেন, উইক-এন্ড সারাদিন আমাদের আড্ডা চলতো ফ্যাক্টরী অফিসে। এমনি এক আলোচনায় আমি পির্য়াসনকে বললাম, ‘ও-কে পিয়ার্সন তুমিই বলো, পৃথিবী ঘোরে এই কথাটি বলার অপরাধে যে ইউরোপপে একজন বিজ্ঞানীকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো, মাত্র দুশো বছরের ব্যবধানেই সেই ইউরোপের দেশগুলো জ্ঞানে বিজ্ঞানের পাইওনিয়ার হয়ে এগিয়ে এলো। এর পিছনের তাৎপর্য কী? উত্তরটি দিলেন ইহুদী পন্ডিত ডক্টর রাল্ফ। বলেন, দেখুন, মিস্টার সুদুরী (চৌধুরী), এ তথ্যটি চৌদ্দশত বৎসর আগেই কোরআনের মাধ্যমে মুসলিমরা জানতো, তাই নয় কি?

 

হ্যা তাতো বটেই। তবে এ ব্যাপারে তোমাদের মতামতটা কি? জানতে চাইলেন চৌধুরী। রাল্ফ উত্তরটা দিলেন। অনেক কথায় অনেক ঘুরিয়ে। যাতে শেষ পর্যন্ত দোষটা গিয়ে চাপল মুসলমানদের ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদদের ওপর। উত্তরের এই অংশটাই আমরা এখানে উল্লেখ করছি। রাল্ফ বললেন,  আমি আরবী ভাষায় ডক্টরেট। আমি জানি কুরআনের প্রকৃত বক্তব্য কী।  একটি সত্য ঘটনা দিয়ে আমি তোমাদের কিছুটা ধারনা দিতে পারি। আমাদের জুইশ কমুনিটির এক নামকরা লিডার ড. এডি মালকা। সে কিছুটা মুসলিম-ক্রিশ্চান বিদ্বেষী।  ক্যাথলিক খৃষ্টানদের সে ‘পেগান’ বা পূর্তি পূজারী বলে নাক সিটকায়। কানাডাতেই তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। এক সময় ইয়াকুব নামে প্রতিবেশী এক আরবীয় মুসলমানের সাথে তার ঘনিষ্টতা হয়। তো একদিন সে ইয়াকুবকে বললো, তোমারা যে ধর্ম ফলো করো তার একটা বই দিতে পারবে কি-না। সে তাকে পিকথলের অনুবাদ করা ইংরেজী ‘দ্য গ্লোরিয়াস কোরআন’পড়তে দিল। সম্পূর্ণ গ্রন্থটা পড়ে এডি ইয়াকুবকে বলে, এই বই নয়, তোমরা আসলে যে কিতাবের ফলোয়ার আমাকে সেই কিতাবখানি দাও। ইয়াকুব বারবার বলে ওইটাই তাদের কিতাব। তখন এডি বলেছিল, ওইটা হবে কেমন করে? ওই বইটিতে যা লেখা আছে, তার কোন কিছুই তো তোমরা করোনা বা তোমাদের মধ্যে নেই। কাজেই আমার মনে হয়, তোমরা অবশ্যই অন্য কোন গোপনীয় বই ফলো করো। আর আমি সেটা চাইছিলাম তোমার কাছে। এই টুকু বলে থামেন রাল্ফ। জানতে চান, এ বিষয়ে ড. আবদুল্লাহর মতামত। তিনি নিজের মত দেননি। ড. রাল্ফ ও পান্না চৌধুরী মনে করেন এডি মালকা ঠিক জিনিসটাই ধরেছেন। দেশে ফিরে পান্না চৌধুরী এখন কোরআনিক ইসলাম প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিজে আল কুরআনের কাব্যানুবাদ করেছেন। তিনি ঠিক করছেন কী ভুল করছেন সেটা নতুন বিতর্কের বিষয়। সেখানে এখন যাচ্ছি না।

আমার প্রশ্ন হলো, পবিত্র কুরআনে যা লেখা আছে, তার কতটা আমরা মানছি? কুরআনের কী কী বিষয় আমাদের মধ্যে নেই? আদতে আমরা কী কুরআন পড়তে পারি? কুরআন বুঝি? নাকি কেউ কুরআন থেকে উপদেশ গ্রহণ করি? আমাদের শিক্ষিত চাকরীজীবী ব্যবসায়ী বা পেশাজীবী-কয়জনের ঘরে কুরআনের বাংলা অনুবাদ গ্রন্থ আছে? আরেকটি কথা আধুনিক মুসলমানরা কুরআন পড়তে পারুন বা নাই পারুন, কেউই কুরআন থেকে কোন দৃষ্টান্ত জানতে চান না; কেন? এখন কথায় কথায় সবাই হাদিস খোঁজেন। হাদিসের দৃষ্টান্ত দেন। ভালো কথা। কিন্তু কোরআনের দৃষ্টান্ত! কুরআনের কথা কেউ বলেন না, কেন? ধর্মীয় হিসেবে তো প্রথমে আসার কথা কুরআন। কুরআনে না পাওয়া গেলে হাদিস। কিন্তু আমরা সবাই এখন ছুটছি শুধু হাদিসের পিছনে। তারপর সহিহ ও জাল নিয়ে জড়িয়ে পড়ছি নানা দ্বন্ধে ও ফেরকায়। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের টেবিলে এখন পাওয়া যায় জাল হাদিস সংক্রান্ত দামি আর্ট পেপারে মুদ্রিত ইংরেজী ভাষার সুদৃশ্য গ্রন্থ। কুরআনের অনুবাদ গ্রন্থ বা কোন সহিহ হাদিস গ্রন্থ বিতরণ না করে এই উল্টা পথে হাটা কেন? কার হাঁটছে, কেন হাঁটছে-সবই কী রহস্যময়? আরেক দল হাঁটছি তাবিজ ও কবজের পিছনে। কারো হাতের কবজিতে, কারো বাহুতে, কারো গলায় ঝুলছে কবচ। বিশ্বাসের কবজ। বালা মুসিবত দূর হওয়ার কবজ। আয় উন্নতির কবজ। কিন্তু একদা বিশ্বের অজেয় মুসলমানদের গলায় ঝোলানো সেই ‘তালিসমান’ আজ কোথায়? যাকে একসময় ইউরোপীয় ক্রুসেডাররা মুসলমানদের বিজয়ের কারণ হিসেবে লিখেছেন, মুসলমানদের গলায় ঝোলানো রয়েছে, এমন এক তালিসমান (কবচ), যার দ্বারা মুসলিম যোদ্ধারা অজেয়। ইংরেজ লেখক স্যার ওয়াল্টার স্কট ‘তালিসমান’ নামক গ্রন্থে এ বিষয়ে কিছু বর্ণনা দিয়েছেন। ক্রুসেডের সময় মুসলমানদের গলায় ঝোলানো থাকতো ক্ষুদ্রাকৃতির পবিত্র কোরআন। পকেটে থাকতো আকশি বা ছোট অক্ষর বড় করে দেখার কাঁচ। যুদ্ধের ময়দানে হোক, বাণিজ্যিক বহরে হোক, সমস্যার সমাধানে হোক, আলোচনার টেবিলে হোক-কোরআন ছিল মুসলমানদের নিত্য সঙ্গী। সুযোগ পেলেই মুসলমান কোরআন পড়ত। এখন কোরআন থাকে বুক সেলফ বা আলমিরার উপরে যত্নের সাথে গেলাফ মোড়ানো। নিত্যদিনের সঙ্গীর খাতা থেকে কোরআন হারিয়ে গেছে। গলায় বা হাতে এখনও ঝোলে নানা জাতের কবচ।#

-এজেড


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ