শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার সিদ্ধান্ত ভারতীয় আলেমদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেয়া সরকারের নির্দেশনা প্রত্যাখান করেছে সে আলেমরা। তারা বলেছেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, ছবি বা ভিডিও রেকর্ড করা ইসলাম পরিপন্থী। তাই তারা এ কাজগুলো করবে না।

তারা জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের দিনটিকে দেশাত্মবোধক হিসেবে পালন করা হলেও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার দরকার নেই।

ভারতের উত্তরপ্রদেশে সব মাদরাসায় স্বাধীনতা দিবসে বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ও সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও রেকর্ডিং করার নির্দেশ দেয়ার পর এমনটা জানান তাঁরা।

বরেলির কাজী মওলানা আসজাদ রাজা খান Time Of India-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন,’ইসলাম ধর্ম মতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জকে উদ্দেশ্য করে। অধিনায়ক বলতে তাঁকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে অধিনায়ক হল আল্লাহ, জর্জ নয়। আমরা জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করি না। কিন্তু ধর্মীয় আবেগের জন্য এই গান গাইতে পারব না।’

মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নির্দেশ ভারতে

শুধু আলেমরা নয়; এমনকি রাজস্থানের গভর্নর কল্যাণ সিং-ও জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন।

২০১৫-তে রাজস্থান ইউনিভার্সিটির কনভোকেশনে উপস্থিত হয়ে কল্যাণ সিং বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ এই গান লিখেছিলেন ইংরেজ শাসকের উদ্দেশে। তাদের উদ্দেশেই তিনি লেখেন, ‘অধিনায়ক জয় হে’। কথা বদলে ‘জন গণ মন মঙ্গল গায়ে’ করে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল।

শরিয়তি মতে, ছবি তোলা কিংবা ভিডিও রেকর্ড করাও ইসলামের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন কাজী মওলানা আসজাদ রাজা খান।

তিনি আবেদন জানিয়েছেন যাতে মাদরাসাগুলোয় পতাকা উত্তোলন করা হয় আর ‘সারে জাঁহাসে আচ্ছা হিন্দুস্থান হামারা’ গানটি গাওয়া হয়। অবশ্যই শহিদ স্মরণে দোয়া ও শিশুদের মাঝে মিষ্টি বিতরণে কোনো দোষ দেখছেন না তিনি।

পিলভিটের আর এক মুসলিম নেতা মওলানা জারতাব খান বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যদি এই সিদ্ধান্ত না তুলে নেন তাহলে মুসলিমরা এটি অমান্য করতে বাধ্য হবে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ