বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


গরু খাওয়া নিয়ে প্রথম আলোর গর্হিত কার্টুন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার জামিল

নিচের ছবিটা এ দেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর কিশোর ম্যাগাজিন "কিশোর আলো" এর জুলাই সংখ্যা থেকে নেওয়া। পৃষ্ঠা নম্বর ছিয়ানব্বই।

মানুষ ও গরুর কথোপকথনে কার্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে।

অত্যন্ত সুক্ষভাবে ও কৌশলে মগজ ধোলাই করতে গিয়ে কয়েকটি কথার অবতারণা করা হয়েছে, যা অত্যন্ত আপক্তিকর, তীব্র নিন্দনীয় ও দোষণীয় এবং অপরাধমূলক গর্হিত কাজ বলে আমি মনে করি।

তাদের কার্টুনের কয়েকটি লাইন দেখুন

এক. কার্টুন ছবির তৃতীয় লাইনে লেখা হয়েছে-
"সবচেয়ে সেরা জীব গরু যে খেতে চায় সে সবচেয়ে নিম্ন প্রজাতির প্রাণী"

তাদের এই লাইটিতে আপক্তিকর দুইটি অংশ উঠে এসেছে।
এক. সবচেয়ে সেরা জীব গরু।
দুই. গরু আহারকারী সবচেয়ে নিম্ন প্রজাতির প্রাণী।

প্রথমত, সৃষ্টির সেরা জীব গরু নয়। বরং, মানুষ। কুরআন শরীফের সূরা ত্বীনে ইরশাদ হয়েছে- لقد خلقنا الإنسان في أحسن تقويم (আল্লাহ বলেন, আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর অবয়বে সৃষ্টি করেছি)

সুতরাং, মানুষই সবচেয়ে সেরা জীব। এতে কোনো সন্দেহ নাই। অথচ এই কার্টুনিস্ট গরুকে সেরা জীব বললেন।
পাশাপাশি গরু আহারকারীকে নিম্ন প্রজাতির প্রাণী বললেন। কতটুকু বিকৃত মস্তিস্ক হলে এ জাতীয় কথা বলতে পারেন, সহজেই অনুমেয়।

কুরআন শরীফের একাধিক জায়গায় গরু খাওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। অথচ আপনি এটাকে নিম্ন প্রজাতির প্রাণী কাজ বলে ফেললেন।

দ্বিতীয়ত, কিছুদিন পর মুসলমানদের সবচেয়ে ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা আসতেছে। প্রতিটি মুসলমান বিশেষত, কিশোরেরা গরু কুরবানির প্রতি অনেক উৎসাহিত থাকে। গরু ক্রয়, হাঁটে যাওয়া, গরু যবাইসহ এতদ সংশ্লিষ্ট সকল কাজে কী পরিমাণ উৎসাহবোধ করে ও প্রেরণা পায়, তা বলা বাহুল্য।

কিশোরদের সে উৎসাবোধে আঘাত করার জন্য ও কুরবানির পশু যাবেহে নৈতিকস্খলনের জন্য এই প্রয়াসগুলো বিভিন্ন সময় চালানো হচ্ছে। মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে।

এছাড়াও কার্টুনের দ্বিতীয় লাইনটিতে দুপেয়ে জানোয়ার বলে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে গালি দেওয়া হয়েছে।সমাজে এ জাতীয় শব্দকে গালি বলেই মনে করে। সে এখানে মানুষকে গালি দিয়েছে।

যারা এ কাজটি করেছেন তারা এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিবেন বলে আশা রাখি।অতীতে তাদের এ জাতীয় ভুল করার উদাহরণ আছে।

আমরা সবাই এর বুদ্ধিভিত্তিক প্রতিবাদ করি। যেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল পর্যন্ত বিষয়টি পৌঁছায়।
পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কামনা করি।

বেফাকে আবারও কর্মী ছাটাই! কর্মীদের করুণ চিঠি!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ