ঢাকার বনশ্রীর একটি বাড়ি থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধারের পর এলাকাটি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গৃহকর্তা মেয়েটিকে হত্যা করেছেন এমন অভিযোগে বিক্ষোভ করছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বিক্ষুব্ধরা বনশ্রীর জি-ব্লকের চার নম্বর রোডের ওই সাততলা বাড়িটির সামনের রাস্তা অবরোধ করে। হামলা চালায় বাড়িতে। রাস্তায় ভাঙচুর করে । একটি গাড়িও অাগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এসময় পুলিশ এসে তাদের সরানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ ।
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মালিক মইন উদ্দিন ও দারোয়ানকে আটক করা হয়েছে। মইন উদ্দিনের বাড়ির গৃহকর্মী লাইলী আক্তারকে (২৫) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে বাড়ির মালিক মইন উদ্দিন পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি হত্যা করেননি। সকালে বাসায় কাজ করতে এসে একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন লাইলী। ডাকাডাকি করলে দরজা খুলছিল না। পরে বাড়ির ম্যানেজার এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছে লাইলী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এসআই মো. বাচ্চু মিয়া জানান, গৃহকর্মী লাইলীর গলায় কালো দাগ অাছে। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই।
‘আশা ও রুমকি বলে, তোরা কী করবি কর আজকেই সুযোগ’