শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

যাদের হাতে প্রেস নেই, তাদের অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা নেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবু তাহের মিসবাহ
সম্পাদক, পুষ্প

১৯৬৪ সালে ভারতে ‘মুসলিম মজলিসে মুশাওয়ারাত' নামে সর্বস্তরের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি অভিন্ন কর্মমঞ্চ (প্লাটফর্ম) তৈরি করা হয়েছিলো। ভারতব্যাপী বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো। হযরত মাওলানা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদাবী রহ. লিখেছেন, 'মজলিসের পক্ষ হতে একবার বিরাট সংবাদ-সম্মেলনের আয়োজন করা হলো, বহু সাংবাদিক উপস্থিত হলেন।

অনেক কথা হলো, সওয়াল-জওয়াব হলো। কিন্তু পরদিন দেখা গেলো, কোনো পত্রিকায় সংবাদ-সম্মেলনের খবর আসে নি।'সংবাদপত্রের ভাষায়, 'না ডবল কলামে, না সিঙ্গেল কলামে!' হিন্দু প্রেস পুরো বিষয়টা চেপে গেছে।
এবার আমাদের দেশের উদাহরণ এবং মাত্র কয়েক বছর আগের।

জনাব এরশাদ সাহেব শাপলাচত্বরে আলেম ওলামাদের পানি পান করিয়েছেন, তাকে ধন্যবাদ। তার সামরিক শাসনকালে হযরত হাফেজ্জী হুযূর রহ. সংসদভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে মহাসমাবেশ করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী মরহূম মেজর আব্দুল জলিল তাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সমাবেশের শেষদিকে, শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা আযীযুল হক ছাহেব রহ. ঘোষণাপত্রের কিছু অংশ পাঠ করে সময়স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে বললেন, 'কাল পত্রিকায় দেখে নেবেন।' এবং 'কাল পত্রিকায়'...।

কত নির্মম সত্য উচ্চারণ করেছেন মাওলানা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নাদাবী রহ., 'যে সম্প্রদায়ের হাতে প্রেস নেই, তাদের অধিকার রক্ষিত হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।' (মন্তব্যটি স্মৃতি থেকে লিখছি, শব্দের বেশকম হতে পারে।)

আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে যদি আমরা চেষ্টা শুরু করতাম সংবাদপত্র-জগতে প্রবেশ করার, হয়তো এ ভূখণ্ডের ইতিহাসই অন্যরকম হতো। হযরত ছদর ছাহেব রহ. সে চেষ্টা করেওছিলেন, কিন্তু খুব কাছের লোকেরা তাঁকে...।

অধ্যক্ষ আব্দুর রজ্জাক ছাহেব কি এখন বেঁচে আছেন? অন্তত বিশবছর আগে শুধু এক ঝড়ের রাতে দেখা হয়েছিলো। তিনি শুনিয়েছিলেন সে বেদনাদায়ক ইতিহাস।

আমাদের দেশে প্রতিটি জামেয়ায় ফতোয়াবিভাগ আছে। যে মানেরই হোক, সেখান থেকে প্রতি বছর মুফতী ছাহেবান তৈয়ার হয়ে বের হচ্ছেন। কিন্তু সাংবাদিকতা বিভাগ নেই। এখনো মাসিক পত্রিকার অঙ্গনেই আমাদের বিচরণ; কবে হবে পাক্ষিক, সাপ্তাহিক, তারপর দৈনিক? এবং সেটাও হতে হবে মুকাবেলায় টিকে থাকার মতো।

'হেফাযতে ইসলাম' যদি হয় আমাদের যিন্দেগির মাকছাদ, তাহলে যদিও অনেক বিলম্ব হয়ে গেছে, এখনই ভাবতে হবে এ বিষয়ে। গণমাধ্যম এখন কাগজের স্তর পার হয়ে চলে গেছে ইলেক্ট্রোনিক পর্যায়ে, অনলাইনযুগে। আমরা পড়ে আছি কোথায়! 'রাত পোহাবার কতো দেরী পাঞ্জেরী?'

উৎস : পুষ্পসমগ্র-২ এর ভূমিকা হতে নির্বাচিত অংশ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ