মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ১০ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাওলানা যাইনুল আবিদীন রচিত ‘আমাদের নবীজি’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠিত  রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে যুক্তরাজ্যসহ ১১ দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকে সুকুক বিষয়ে শরিয়াহ প্রস্তাবনা প্রদান হিজাব ও দাড়ি নিয়ে বৈষম্য, জড়িতদের শাস্তি দাবি হেফাজতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ : পীর সাহেব চরমোনাই ফজলুর রহমান সময় চাইলেন ৭ দিন, বিএনপি দিল ২৪ ঘণ্টা দাড়ি রাখায় শাস্তি প্রদান ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়ার শামিল: জমিয়ত ফেসবুকের অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধে জিডি করলেন ইবনে শাইখুল হাদিস অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: ইসলামী আন্দোলন মহিলা ইউনিট বগুড়ায় সমকামিতা ও এলজিবিটিকিউ এজেন্ডার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

একজন হাফেজ আলেম যখন বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বহুমুখী প্রতিভার অধীকারী, বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বাইতুস সালাম মাদ্রাসার সম্মানিত মুহাদ্দিস, আইইউটি জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব, পার্টটাইম ফ্যাকাল্টি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, সাবেক স্কর্ডন লিডার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মাওলানা আহমাদুল হক এর বিশেষ সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন মাওলানা আবু সাঈদ যুবায়ের। ‘রিসালাতুল ইসলাম বিডি’র পক্ষ থেকে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকারটি আওয়ার ইসলাম পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।

মুহতারাম! আপনি তো কওমি মাদরাসায় পড়ালেখা করেছেন, এখান থেকে আপনি কিভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে গেলেন?

পারিবারিকভাবে আমারা সবাই কওমি মাদরাসার সাথে যুক্ত। আমিও কওমি মাদরাসায় পড়াশোনা করেছি। হেফজ করেছি, সিলেট এদারা বোর্ড’র অধীনে দাওরা হাদিস সম্পন্ন করি। অতঃপর, ধারাবাহিকভাবে এসএসসি থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয় নিয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করি। প্রথমত যখন আমি অনার্স পড়ছি, তখন ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে বিমান বাহিনীতে যোগ দেই এবং কিছুদিন পর আমার মাস্টার্স সম্পন্ন হয়। অতঃপর আমি যখন অন্য কোন প্রফেশনে যেতে চাই, তখন তারা আমাকে অনুরোধ করে- আপনি যেহেতু এতদিন আমাদের সাথে ছিলেন, সেহেতু আপনি আমাদের সাথেই থেকে যান। তারা আমাকে শিক্ষা শাখায়, স্পেস সর্ট সার্ভিস কমিশনে প্রথম পর্যায়েই প্রমোশসহ ফ্লাইট লেফটেনেন্ট পদে যোগ দেয়ার অনুরোধ করেন, আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই।

বিমান বাহিনীতে যাওয়ার কোন ইচ্ছেই আমার ছিল না, ঘটনা পরম্পরাই হয়ে যায়। তবে আমি যতদিন সেখানে ছিলাম, ততদিন আমি আমার দায়িত্ব অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে পালন করেছি এবং দেশের একজন আলেম ও দ্বিনি শিক্ষায় শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে বিমান বাহিনীর সাথে কাজ করার মত সুযোগ রয়েছে, সেই উপলব্ধি আমার হয়েছে এবং আমার জীবনের একটা ভাল সময় অতিবাহিত হয়েছে বলে মনে করি।

আপনি যে বললেন, আপনার প্রতি বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের ভাল একটি মনোভাব ছিল, আমরা জেনেছি আপনি দীর্ঘদিন সেখানে সুনামের সাথে কাজ করেছেন, এ ক্ষেত্রে বিমান বাহিনির উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অভিব্যক্তি সম্পর্কে যদি বলতেন?

আমি তো প্রথমত ইমাম হিসেবে যোগদান করি, আর ঘটনাক্রমে এরশাদ সাহেব থেকে শুরু করে তিন বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা আমার মুসল্লি ছিলেন।এ ধরনের শিক্ষিত লোকদের তাদের ভাষায় দীনের কথা যখন একজন আলেম নিরেপেক্ষ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তখন তারা আমার প্রতি খুব আকৃষ্ট হয়েছেন। তাই আমি যখন চলে আসতে চেয়েছিলাম তখন তারা আমাকে বললেন, আপনি আমাদের এখানে থাকুন, তাতে আমাদেরও উপকার হবে আপনারও উপকার হবে। আমি যেই ১০ বছর সেখানে ছিলাম, ইমামের দায়িত্ব পালন করেছি।

অন্যান্য কাজের সাথেও আমি জড়িত ছিলাম এবং প্রসংসার সাথেই ছিলাম। সরকারিভাবে ইরান ও সৌদি সফর করেছি এবং সেখানে হরামাইনের দুই ইমামের সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেছি।

আমার তো মূল পরিচয় ছিল আমি একজন আলেম। সাথেসাথে সাধারণ শিক্ষিত। এজন্য আমি আল্লাহর শুকরিয়া করছি।

পুরো সাক্ষাৎকারের জন্য নিচের ভিডিওটি দেখুন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ