আওয়ার ইসলাম: লমনিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির গণগ্রেফতারের ঘটনায় বিজিবিকে উদ্দেশ্য করে সরকারদলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেছেন, আপনারা যে কাউকে যখন তখন ধরে নিয়ে যেতে পারেন না।
তিনি বলেন, দেশে মার্শাল ল’ নেই যে যাকে খুশি তাকে ধরে নিয়ে যাবেন। যাদের আটক করেছেন তাদেরকে অবিলম্বে ছেড়ে দিন। অথবা তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করুন। নিরপরাধ মানুষকে আটক করার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে?’
গত ৬ জুলাই দহগ্রাম ক্যাম্পের এক বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবির গেফতার অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। সম্প্রতি ওই এলাকায় এক বিজিবি গণআটক আতঙ্কে ওই এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে।
সাংসদ মোতাহার হোসেন দহগ্রামের সাধারণ মানুষকে ভয় না পেয়ে ঘরে ফেরার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বিজিবি ও পুলিশকে সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান এবং তাদের দ্বারা যাতে এলাকার কেউ হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে লক্ষ্য রেখে দহগ্রামের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহবান জানান।
এর আগে তিনি স্থানীয় দহগ্রাম ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছে বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া কিভাবে তিস্তা নদীতে নিখোঁজ হন এবং কিভাবে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় সে বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে অবগত হন।এসময় অনেকেই পুলিশ ও বিজিবির বিরুদ্ধে গরু চোরাচালান ব্যবসায় চাঁদাবাজি বাণিজ্যের অভিযোগ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে এবিষয়ে বিজিবির জেলা কমান্ডের সঙ্গে কথা বলতে তিনি লালমনিরহাট জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রাতেই রওনা হন।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই ঈদুল ফিতর রাতে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পে সংযুক্ত থাকা রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াসহ ৪ সদস্যের একটি টহল দল গরু চোরাচালানের গোপন সংবাদ পেয়ে দহগ্রাম সীমান্তের তিস্তা নদীর আবুলের চরে গিয়ে অবস্থান নেন।
পরে গরু দেখতে পেয়ে তা আটকের চেষ্টা করতে টহল দলের অপর ল্যান্স নায়েক টুটুল মিয়া তিস্তা নদীতে নামেন। কিন্তু টুটুলকে ডুবে যেতে দেখে তাকে বাঁচাতে তিস্তায় নামেন বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া।এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন ভারতের অভ্যন্তরে তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার দেখাতে পারেননি।
এসএস/