মুহাম্মদ রাকিব হাসান: কাতারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে ঘোষনা দিয়েছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন চার আরব দেশ। কাতার সৌদি জোটের দেয়া ১৩ দফা দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করার পর এ ঘোষণা দিল সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।
সৌদি সরকারি বার্তা সংস্থা (এসপিএ)এর খবর অনুযায়ী, কাতারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের প্রতি দেশটির সহযোগিতার গভীরতা উপলব্ধি করা গেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষতি করার ক্ষেত্রে কাতারের নাশকতামূলক মনোভাব ফুটে উঠেছে বলে দাবি করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন এই চার দেশ। মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত সৌদি জোটের এক বৈঠকে এই ঘোষনা আসে বলে জানা যায়।
অনুষ্ঠিত বৈঠকে, কাতারের সঙ্গে চার আরব দেশের সংকটে মধ্যস্থতা করার প্রচেষ্টার জন্য কুয়েতের আমিরকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তার প্রতি সম্মান জানানোর জন্য হলেও এ সংকট নিরসনে আগ্রহ না দেখানোয় কাতারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসের ৫ তারিখে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং জুন মাসের শেষ দিকে এসব দেশ অবরোধ তুলে নিতে কাতারকে ১৩ দফা দাবি মেনে নিতে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেয়। সে সময়সীমা একবার বাড়ানোর পরও কাতার ১৩ দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে।
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন চার আরব দেশ কাতারকে যে ১৩ দফা শর্ত দিয়েছিল সেগুলোর মধ্যে ছিল আল-জাজিরা নেটওয়ার্ক বন্ধ করা, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক কমানো এবং গাজার ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসসহ আরো কিছু সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা।
কিন্তু কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আলে সানি শুরু থেকেই এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত কাতার তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে।
কাতারের উপর অবরোধ অব্যাহত থাকবে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী