বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


লেখালেখি ও বক্তৃতায় আগ্রহীদের জন্য কোর্সটি হবে চমৎকার: মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জামিয়াতুস সালাম মদিনাবাগ চালু করেছে লেখালেখি সাংবাদিকতা ও বক্তৃতা কোর্স। কোর্সের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন নন্দিন কথা শিল্পী মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন। আওয়ার ইসলামকে তিনি কোর্সের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও সাফল্যের ব্যাপারে তার আশাবাদের কথা বলেছেন। একান্ত আলাপচারিতায় তার সঙ্গে ছিলেন আতাউর রহমান খসরু

আওয়ার ইসলাম : দেশে বিভিন্ন ধরনের কোর্স চালু থাকার পরও নতুন একটি কোর্সের উদ্যোগ নিলেন কেনো?

মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন : ‘আমাদের তরুণরা আলেম হওয়ার পর সামাজিক দায়িত্বপালন করতে যেয়ে ভাষার যে দীনতার মুখোমুখী হয় আমরা তাদের মধ্যে তা কাঁটিয়ে উঠার আকুলতা ও ব্যাকুলতা দেখছি। এটা কাটিয়ে ওটার জন্য তারা নানা ধরনের ছোটখাঁটো কোর্স করে। মাদরাসাগুলোতেও এ ব্যাপারে কিছু প্রচেষ্টা দেখা যায়। আমাদের মনে হয়, ছোট খাটো কোনো কোর্স করে এবং নিজ উদ্যোগে এ দুর্বলতা কাঁটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। যতোটা প্রয়োজন।

আওয়ার ইসলাম : দীর্ঘ বারো বছর যে দুর্বলতা কাটানো যায় নি, এক বছরের কোর্স করে তা কি কাটানো সম্ভব হবে?

মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন : আমরা ঠিক যে জায়গাটাতে মেহনত করতে চাচ্ছি, মাদরাসাগুলোতে ঠিক সে জায়গায় মেহনত হয় না। সেখানে তারা ঠিক মতো উৎসাহ, তত্ত্বাবধান ও পৃষ্ঠপোষকতা পায় না। হ্যা, দুয়েকজন ব্যতিক্রমও হন।

আমাদের বিশ্বাস, অন্তত এক বছর যদি তাদের সক্রিয়ভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, তবে নিয়মিত লেখানো, লেখা দেখা, ভালো ভালো লেখা পড়ানো, তাদেরকে শুদ্ধ উচ্চারণ শেখানো ও বলানো হলে তাদের মৌলিক পাঠদানের বিষয়টি সম্পন্ন হবে।’

দাওরা শেষ করেছেন? পড়তে পারেন লেখালেখি ও সাংবাদিকতা কোর্সে

আওয়ার ইসলাম : এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব কতোটুকু?

মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন : প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার একটি মর্যাদা আছে। আমরা দেখছি, ছেলেরা ফেসবুক থেকে শুরু করে অনলাইন পত্রিকায় লেখালেখি করছে। কিন্তু মৌলিক পাঠ ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকায় তারা সামাজিক স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন পাচ্ছে। এক বছরের সযত্ন প্রশিক্ষণে এ দুর্বলতা কাটবে বলে মনে করি।এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মনোবল বৃদ্ধি করে এবং তাদের ভেতর আত্মমর্যাদাবোধ তৈরি করে।’

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুণগত মানেও অনেক পার্থক্য আছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অনেক বেশ গোছালো ও ফলপ্রসূ হয়।

আওয়ার ইসলাম : এ কোর্সে আপনার অংশগ্রহণ কেমন হবে?

মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন : ‘আমি মনে করছি, এটা আমার কোর্স। একান্তই আমার কোর্স। সুতরাং আমি ছটবাঁধা সময় দিবো বিষয়টি এমন নয়। আমরা যাদেরকে পাবো আমি তাদেরকে তৈরি করার চেষ্টা করবো। একটা পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা এখানে কাজ করবে। আমি নির্ধারিত দিনগুলোতে তো আমি যাবোই। এর বাইরে সার্বিক বিষয়ের তত্ত্বাবধান আমি করবো।’

আওয়ার ইসলাম : আপনি ছেলেদের কী পড়াবেন? আপনাদের পরিকল্পনা কী?

মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন : ‘কিছু বইপত্রের নাম দিয়ে একটি সিলেবাস তৈরি করা খুব কঠিন কিছু না। এটা যে কেউ-ই পারবে। কিন্তু আমার দুই যুগের পড়াশোন, লেখালেখি ও শিক্ষকতার যে অভিজ্ঞতা তার আলোকে আমি বলবো, সিলেবাস আমাদের মূল বিষয় না। ছেলেদের যা দিতে চাচ্ছি তা দিয়ে দেয়াটা মূল। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করবো। উচ্চ শিক্ষায় বিষয় নির্ধারিত থাকে বই নির্ধারিত থাকে না। আমরা বিষয়গুলোকে ছেলেদের বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছেলেদের শেখাতে চাই।’

আওয়ার ইসলাম : নতুন একটি কোর্স। আপনাদের জন্ চ্যালেঞ্জও বটে। সাফল্যের ব্যাপারে কতোটা আশাবাদী?

মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন : ‘এক বছর আমরা পরিশ্রম করবো। পরিশ্রম করে একটা নমুনা দাঁড় করাতে চাই। আমরা বড় মাপের শূন্য জায়গায় আমরা হাত দিয়েছি। আমাদের দেশের যেসব উচ্চতর শিক্ষা কোর্সগুলোতে বাস্তব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শেখানো হয় না বা কম হয়। আমরা খুব অল্প স্বল্প বিষয় নিয়ে কাজ করবো। এক বছর পরিশ্রম করার মতো তরুণ পেলে আমরা একটা দৃষ্টান্ত পেশ করতে পারবো। আশা করি, আমরা যা বলেছি তার থেকে বেশি কিছু নিয়ে বের হতে পারবে তারা।’ ইনশা আল্লাহ!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ