হাসান আল মাহমুদ: নুরানী শিক্ষা পদ্ধতির আবিস্কারক বিশিষ্ট আলেমে দীন কারী মাওলানা বেলায়েত হুসাইন আর নেই। (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
দীর্ঘ দিন নিরিবিলি দুনিয়াকে দেখে অবশেষে পরপারের আহ্বানে সাড়া দিলেন তিনি।
শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে তিনি মোহাম্মদপুরের বাসায় ইন্তেকাল করেন। আওয়ার ইসলামকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন তার বড় ছেলে কারী ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন ।
কারী বেলায়েত হুসাইন চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার কৃষ্ণপুর (বর্তমান নাম বেলায়েত নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আনুমানিক ১৯০৭ সালে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। জন্মের তিন বছর বয়সে বাবা আব্দুল জলিল এবং ছয় বছর বয়সে মা সাইয়েদা খাতুনকে হারান। দুই বোনের মধ্যে ছোট বোন বয়সে তার ১৮ বছরের বড়। শৈশবে বাবা-মা হারা এই ছেলেটিই একদিন হয়ে ওঠেন একটি বৈপ্লবিক শিক্ষা পদ্ধতির আবিষ্কারক।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বারোপাইয়া গ্রামের মাওলানা ক্বারী সিরাজুল ইসলামের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন কারী বেলায়েত হুসাইন। এরপর ঢাকার বড়কাটারা মাদরাসায় কিতাব বিভাগে ভর্তি হন। শিক্ষার খরচ যোগাতে রমজানে টেইলার্সে কাটিং মাস্টারের কাজও করেছেন। এরপর দীর্ঘ চড়াই উৎরাই শেষে ১৯৪৮ সালে দাওরায়ে হাদিস শেষ করেন তিনি।
২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর রাত ১০টায় বার্ধক্যজনিত কারণে ব্রেইন স্ট্রোক করে বিছানায় শায়িত হয়েছিলেন কারী মাওলানা বেলায়েত হুসাইন। সেখান থেকেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
কারী মাওলানা বেলায়েত হুসাইনের জানাজা ও দাফন কোথায় হবে বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে বলে জানান বড় ছেলে কারী ইসমাইল।
উল্লেখ্য, গত পরশু কারী মাওলানা বেলায়েত হুসাইনকে নিয়ে আওয়ার ইসলাম একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন করেছিল। যেখানে তার সংগ্রামী জীবনের কথা ও অবদান বিষয়ে বিস্তারত তুলে আনা হয়। প্রতিবেদনটি পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন...
কেমন আছেন নুরানী পদ্ধতির আলো হাতে ঘুরে বেড়ানো কারী বেলায়েত হুসাইন?