আতাউর রহমান খসরু: কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের মান দিয়ে সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এটা আইনে রূপ দিতে জাতীয় সংসদে দাবি উত্থাপন করেছেন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য এহিয়া চৌধুরী।
গত বুধবার জাতীয় সংসদে দেয়া বাজেট বক্তৃতায় তিনি এই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরেন।
১১ এপ্রিল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শীর্ষ আলেমদের সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদরাসার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদান স্বীকার করে স্বীকৃতি দেয়ার যে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা খুবই প্রশংসনীয়। সাংসদ নিজের পক্ষ থেকে এবং তার দল জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে এই সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন জানান।
এমপি এহিয়া চৌধুরী বলেন, এই স্বীকৃতিকে আইনে পরিণত না করলে এটা স্থায়ী হবে না। এর আগেও আমরা দেখেছি ২০০৬ সালে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি মৌখিকভাবে ঘোষণা করেছিল, কিন্তু তা আইনে পরিণত না করায় কোনো কাজে আসেনি। এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
সাংসদ তার ২০ মিনিটের বাজেট বক্তৃতার প্রাক্কালে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূর্তি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের সংস্কৃতির পরিপন্থী, হাজার বছরের ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশের রাজনীতিকে অস্থির করে তোলার গভীর ষড়যন্ত্র।
দেশে মানুষের মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখিয়ে জাতীয় ঈদগাহের পাশ থেকে মূর্তিটি সরিয়ে ফেলায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
পরে তিনি বাজেটের ওপর আলোচনা করেন। সেখানে তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর কড়া সমালোচনা করেন। এছাড়া নিজের এলাকার পক্ষে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ এহিয়া চৌধুরী এর আগেও জাতীয় সংসদে কওমি মাদরাসা ও আলেম-ওলামার পক্ষে বিভিন্ন দাবি পেশ করেন। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির দাবিতে তিনি বারবার কথা বলেছেন। গ্রিক দেবীর মূর্তি নিয়ে তিনিই প্রথম জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেন।
ভিডিও
https://www.facebook.com/ahiya25/videos/1389021417845251/
কওমি স্বীকৃতি জাতীয় সংসদে পাস করতে প্রধানমন্ত্রীকে আল্লামা শফীর চিঠি; যা আছে চিঠিতে