শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


নিষিদ্ধ বইয়ের স্মৃতিস্তম্ভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : প্রতি পাঁচ বছর পরপর জার্মানিতে আয়োজন করা হয় ডকুমেন্টা। ডকুমেন্টা হলো সমসাময়িক শিল্পের প্রদর্শনী। এবারের প্রদর্শনীতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শিল্প হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ।

তবে সেই স্তম্ভ কোনো তা মার্বেল পাথরে তৈরি নয়। তা তৈরি করা হয়েছে বই দিয়ে; যেসব বই নিষিদ্ধ রয়েছে বা একসময় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর কাসেলে প্রতি পাঁচ বছর পর পর এ আয়োজন করা হয়ে থাকে। বইয়ের এই স্মৃতিমন্দিরটি তৈরি করেছেন আর্জেন্টনার শিল্পী মারতা মিনুকিন। সব ধরনের সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ তিনি নিষিদ্ধ বই দিয়ে এ শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন।

এমন এক লাখ বই দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে স্তম্ভটি।৭৪ বছর বয়সী মিনুকিন দক্ষিণ আমেরিকার পপ শিল্পের আইকন। তিনি এই শিল্পকর্মটিকে তাঁর সব কাজের মধ্যে ‘সবচেয়ে রাজনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।

এ ছাড়া ‘বইয়ের এই স্মৃতিস্তম্ভ’টি দাঁড়িয়ে রয়েছে যে জায়গায়, সে জায়গাটিতেই ১৯৩৩ সালে ইহুদি বা মার্ক্সবাদী লেখকদের বইয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল নাৎসিরা। নাৎসিদের বই পোড়ানোর ওই ঘটনার পর আট দশক পার হয়েছে।

কয়েক মিনিটের মধ্যে ৪৬টি স্তম্ভের এই শিল্পকর্মের একটি স্তম্ভে জায়গা করে নিয়েছে আলেকসান্দার সলসিসেনের ‘দ্য ফার্স্ট সার্কেল’। স্তম্ভগুলো তৈরি ধাতব গ্রিল দিয়ে, যা বই দিয়ে পূরণ করা হয়েছ। রুশ লেখকের বইগুলোর সঙ্গে আছে ‘দ্য বাইবেল’, ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টম সয়্যার’ ও ‘দ্য লিটল প্রিন্স’।
সব মিলিয়ে এক লাখ বই দিয়ে কলামগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি বই প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। জার্মানির খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ