বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


৯কোটি ভোটারের কাছে পৌঁছার টার্গেট ইসলামী আন্দোলনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজি আতাউর রহমান
যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

জাতীয় রাজনীতি এখন অনেকটাই নির্বাচনমূখী। জাতীয় নির্বাচনের যদিও এখনও প্রায় দেড় বছর বাকী কিন্তু দেশের প্রধান প্রধান দলগুলো তাদের কৌশল নির্ধারন করে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, সম্ভবত: ইসলামী আন্দোলনই একমাত্র রাজনৈতিক দল- যারা এখন পর্যন্ত এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার চিন্তা করছে।

দলটি ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই এককভাবে নির্বাচন করার টার্গেট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে। এর মাঝে জাতীয় রাজনীতিতে এবং ইসলামী অঙ্গণে অনেক উত্থান-পতন, ভাঙ্গা-গড়া আর মেরুকরণ হলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার স্বকীয়তা অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামী আন্দোন বাংলাদেশ -এর নীতিনির্ধারকগণের সন্তুষ্টির জায়গা হলো, তাদের রাজনৈতিক কৌশল যে সঠিক, তা তাদের বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের বোঝাতে পেরেছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদী নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দু‘টি মৌলিক কর্মসূচী হাতে নিয়েছিল। একটি হলো, তৃণমূল পর্যায়ে সাংঠনিক বিস্তৃতি, অপরটি হলো, সকল পর্যায়ে জনশাক্তির মানোন্নয়ন।
দেশের প্রায় ৯কোটি ভোটারের কাছে পৌঁছার মাস্টারপ্ল্যান নিয়েই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তৃণমূলে সাংগঠনিক বিস্তৃতির পরিকল্পণায় ইসলামী আন্দোলন দেশের প্রায় ৪৫ হাজার ওয়ার্ডের সবগুলোতেই মূল সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনের টার্গেট নিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইশা ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলনসহ আরো যে কয়টি সহযোগী সংগঠন তৃণমূলে বিস্তার লাভ করেছে এগুলোর ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির দায়িত্বশীলদের সংখ্যা যোগ করলে ১০০ এর কিছু বেশী হয়। ৪৫হাজার ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ১০০ করে দায়িত্বশীল হলে সারা দেশে দায়িত্বশীলের সংখ্যা হয় ৪৫লাখ।

ইসলামী আন্দোলন -এর দ্বিতীয় মৌলিক কর্মসূচি হলো, প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে কর্মী মানে উন্নীত করা। একজন দায়িত্বশীলের কর্মী হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো, কমপক্ষে ২০জনকে সদস্য করা। ৪৫লাখ দায়িত্বশীল যদি সঠিকভাবে কর্মীর দায়িত্ব পালান করে তাহলে দেশের প্রায় ৯কোটি ভোটারকেই ইসলামী আন্দোলন -এর পক্ষে নিয়ে আসা সম্ভব।

বিষয়টি অনেকের কাছেই বিস্ময়কর মনে হতে পারে। তবে বাস্তবতা হলো, এটাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর নির্বাচনী পরিকল্পণা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামী জাতীয় নির্বাচনে সত্যিকার অর্থেই একটি বিস্ময়কর ফলাফল অর্জন করতে চায়।

মাওলানা কাসেমীর খোঁজ নিলেন খালেদা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ