শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


মূর্তি সরান, নইলে রমজানের পরে বৃহৎ আন্দোলন: আল্লামা কাসেমী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অপসারিত ভাস্কর্য এনেক্স ভবন থেকে পুনরায় অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হেফাজতের ঢাকা মহনগরীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নেতারা এনেক্স ভবন থেকে দ্রুত মূর্তি  সরানোর আহবান জানান।  এছাড়াও মসজিদ নিয়ে বিরুপ মন্তব্যকারী সুলতানা কামালকে দ্রুত গ্রেফতারের আহ্বানও জানান সরকারকে।

বিক্ষোভে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘গ্রিক দেবী অপসারণের কারণে আমার গত শুক্রবার ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু  অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে আজ আমরা প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত হয়েছি। মূর্তি অপসারণের পর আবার প্রতিস্থাপন তামাশা, এছাড়া আর কিছু নয়। অনতিবিলম্বে মূর্তি অপসারণ করা হোক, না হলে রমজানের পরে বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী, জ্বালাও-পোড়াওয়ে বিশ্বাসী না।’

সম্মেলনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘মক্কায় যত মূর্তি সরানো হয়েছে, সেটা রমজান মাসেই সরানোর হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি মূর্তি কি এখান থেকে সরাবেন? নাকি আমরা আসব? আমরা যে আসতে পারি, আপনাদের নিশ্চয় তা জানা আছে। ২৪ ঘণ্টায় কোটি মানুষ ঘেরাও করবে হাই কোর্ট। মেহেরববানি করে আমাদের আসতে বাধ্য করবেন না। আমরা যে দিন আসব, পুলিশ ঠেকাতে পারবে না। আমরা যে দিন  আসব, কাফনের কাপড় হাতে নিয়ে আসব।’

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে দু’টি শিবিরে বিভক্ত। একটি মূর্তির পক্ষে, অন্যটি মূর্তির বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। সুপ্রিম কোর্টের কোন স্থানেই মূর্তি থাকতে দেওয়া হবে না।’  হেফাজতের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মাওলানা মামুনুল হক বলেন,  ‘সেদিনের জন্য প্রস্তুত থাকুন, প্রয়োজনে আল্লামা আহমদ শফী ডাক দেবেন। এ দেশের আলেম সমাজ রাজপথে নামবে। থেমিসের গলা রশি বেঁধে প্রয়োজনে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হবে।’

 

ঢাকা মহানগর হেফাজতের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি কলা ঝুলিয়ে মুলা খাওয়ালেন। তিন চারজন লোকের কারণে আপনার ভোট বাক্স কমছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে আশা করবেন না। আগামী নির্বাচনে স্বয়ং মোদি  এসে আপনাকে ক্ষমতায় বসাতে পারবেন না।’

মাওলান ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ওরা বলে ভাস্কর্য আর মূর্তি এক জিনিস না। মূর্তির চেয়ে ভাস্কর্য আরও খারাপ। মূর্তির পূজা করে সামান্য গুটি কয়েক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের।  আর ভাস্কর্য পূজা করে মৃণাল হক, সুলতানা কামাল, শাহরিয়ার কবির, ইমরান এইচ সরকাররা। এসব নাস্তিক-মুরতাদ ভাস্কর্য পূজা করে। এসব ডিজিটাল নাস্তিককে বাংলার জমিন থেকে ভাস্বর্যসহ ভারতে পাচার করে দেওয়া হবে। মৃণাল হক সুপ্রিম কোর্টের সামনে জঙ্গিবাদ শুরু করেছে। সুপ্রিম কোর্টের  সামনে দেবীর হাতে তরবারি দিয়েছে। এদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর হেফাজতের সহ সভাপতি মুফতি মাহফুজুল হক, মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী, গোলাম মুহিউদ্দীন ইকরাম, আতাউল্লাহ আমিন, হাকিম আব্দুল করিম প্রমুখ।

ভাস্কর্য সরানোয় প্রধানমন্ত্রীকে হেফাজতের ধন্যবাদ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ