শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

পূর্ববর্তীদের ও এখনকার রোজার বড় পার্থক্য ধরিয়ে দিলেন মাওলানা তারিক জামিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাকিব হাসান: বিশিষ্ট দাঈ মাওলানা তারিক জামিল বলেন, আমরা বর্তমান মুসলিম উম্মাহ বড় ভাগ্যবান। পূর্ববর্তী উম্মতগণ ২০ ঘন্টা রোজা রেখেছেন আর এখন আমাদের শুধু দিনের বেলায় রোজা রাখা লাগে। পূর্ববর্তী উম্মতদের জন্য স্ত্রী সহবাসের অনুমতি ছিল না কিন্তু এখনকার উম্মতের জন্য স্ত্রী সহবাস হালাল। এক মজলিসে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আগে ২৪ ঘন্টা রোজা রাখতে হত, ইফতারির পরে এখটুখানি সময় চোখ বন্ধ হলেই রোজা ভেঙ্গে যেত।

তিনি বলেন, এক সাহাবী ছিলেন যার নাম কায়েয বিন সুরায়মা। তিনি ঘরে এসে স্ত্রীর কাছে ইফতারির কথা জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু ঘরে কিছুই ছিল না, তার স্ত্রী সারাদিন কষ্ট করে, মাঠে কাজ করে ঘরে ফেরা স্বামীর জন্য ইফতারির ব্যবস্থা করতে গেলেন। তবে সে ফিরতে দেরি করে ফেলেন। এদিকে সাহাবী কায়েয বিন সুয়ারায়মার চোখ লেগে যায়। স্ত্রী ফিরে আসতে আসতে সূর্য ডুবে গেল পরবর্তী রোজা শুরু হয়ে গেল।

জোহরের নামাজে তার মুখ শুকনো দেখে রাসুল সা. তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কায়েজ তোমার কি হয়েছে?
তিনি ঘটনা বর্নণা করলেন এবং তার পর থেকে রাতভর খাওয়া দাওয়া হালাল করে দেওয়া হল।

মাওলানা তারিক জামিল বলেন, পূর্ববর্তী উম্মতগণের রোজা অনেক কঠিন ছিল। তারা ২৪ ঘন্টা রোজা রাখতেন। তাদের জন্য স্ত্রী সহবাস হারাম ছিল এমনকি অনেক উম্মতগণদের জন্য রোজাবস্থায় কথা বলাও নিষেধ ছিল। কিন্তু উম্মাতে মুসলমানের জন্য রোজা অনেক সহজ করে দেওয়া হয়েছে। রাত্রে স্ত্রী সহবাস হালাল করে দেওয়া হয়েছে এবং রোজার সাওয়াবও তাদের জন্য বেশি দেওয়া হবে বলে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করে দিয়েছেন।

হিজরী সনের ১১ মাস আরববাসী রেখেছেন কিন্তু রমজান মাসের নাম স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা রেরখেছেন।

কুদরত ডটকম থেকে অনুদিত


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ