মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য থেমিস মূর্তি অপসারণ অপরিহার্য ছিল’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেছেন, মধ্যরাতে থেমিস দেবীর নিকৃষ্ট আবর্জনা অপসারণ করে, জাতিকে অভিশাপ মুক্ত করে, বাংলাদেশের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে, দেশের জনগণের বোধ-বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নন্দিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, নির্বাহী বিভাগের সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়া চক্রকে প্রতিহত করে, থেমিস মূর্তিকে সার্বজনীনতা দেয়ার অপচেষ্টা বানচাল করে দিয়ে, সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সংবিধান বিরোধী গ্রীকদেবী থেমিসের মূর্তি অপসারণ করায় দেশবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছে।

তাঁর এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী, চমৎকার এবং এর তাৎপর্য অপরিসীম। এই সিদ্ধান্ত, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং ইনসাফের পক্ষের। থেমিস দেবীর মূর্তি অপসারণের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসী অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। আসুন, আমীরে হেফাজত, শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা.-এর জন্য দু’আ করি।

আজ (২৬ মে) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুফতী ফয়জুল্লাহ আরো বলেন, থেমিস দেবী অপসারণের দাবী শুধু হেফাজতের কিংবা ইসলামী শক্তির ছিলো না। থেমিস অপসারণ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের গণমানুষও। রাষ্ট্র ও সমাজের শৃঙ্খলা ও শান্তি নিশ্চিত করা এবং নাগরিকদের পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য থেমিস দেবীর মূর্তি অপসারণ অপরিহার্য ছিল। এই দাবীতে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশের অতি ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠী থেমিসের পক্ষে দাড়িয়েছিল। তারা জাতীয় ঈদগাহ-এর দেয়াল ঘেসে থেমিস দেবীর মূর্তি স্থাপনের মধ্য দিয়ে কোটি কোটি বিশ্বাসী মানুষের হৃদয়ে ছুরি চালিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন- তাদের অমার্জনীয় এই পাপের দায় সরকার নিতে পারে না।

মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, চেতনা-ব্যবসায়ী জনবিচ্ছিন্ন অতি ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠীর অভিশপ্ত চিন্তা, অন্ধকার ভাবনা, অশালীন ও ভ্রান্ত উক্তি, হিংসা ও বিদ্বেষের আগুন এবং উস্কানিমূলক চিৎকার,চেঁচামেচির জবাবে আমরা কিছু বলতে চাই না। শুধু প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় যে, মুক্তিযুদ্ধের পর দশকের পর দশক ধরে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ দেবীমূর্তি থেকে পবিত্র থাকাটা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ছিল? জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদী ব্যাপার ছিল? স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় এসেও মূর্তি স্থাপন করেননি তারা সবাই কি জঙ্গি-মৌলবাদী ছিলেন? তাঁরা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী ছিলেন? আর এতবছর পর যারা ‘কথিত ন্যায়বিচারের প্রতীক নামে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করলেন তারা কি তাদের ঐ সকল পূর্বসূরীর চেয়েও বড় চেতনাধারী হয়ে গেলেন? বাংলাদেশের বিচার-ব্যবস্থায় এ যাবৎ কি ন্যায় বিচার ছিলনা? এই মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে কোন ন্যায় বিচারের ভিত্তি স্থাপিত হলো(?) থেমিস দেবীর মূর্তি অপসারনের কারণে প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি বিপন্ন হয়ে গেছে?

মূর্তি সরানোয় শীর্ষ ইসলামি রাজনীতিবিদগণ যা বললেন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ