বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


রমজানে প্রতি কেজি গরু মাংস ৪৭৫ টাকা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রমজানে প্রতি কেজি দেশি গরুর মাংস নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭৫ টাকা, আর খাসীর গোশত বিক্রি হবে ৭২৫ টাকা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিদেশি গরু ৪৪০ টাকা, দেশি গরু ৪৭৫, মহিষ ৪৪০ ও ভেড়া বা ছাগীর মাংস প্রতিকেজি ৬২০ টাকায় বিক্রি হবে। এ দাম মনিটরিং করবে সিটি কর্পোরেশন। যদি বেশি দামে বিক্রি হয় তাহলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার দুপুরে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান তিনি।

সাঈদ খোকন বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবে মাতুয়াইল, যাত্রাবাড়ী অথবা কামরাঙ্গীরচরে গরুর স্থায়ী হাট করা হবে।

এর আগে গেলো ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয় দিনের কর্মবিরতি পালন করেছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা। কর্মবিরতির পর হঠাৎ করে কেজি প্রতি গরুর মাংসের দাম বিক্রেতারা এক ধাপে ৪২০ টাকা থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি শুরু করেন।

বিক্রেতাদের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তারা সমিতির ওপর দোষ চাপান।

দাম বাড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, ৫০ টাকার সরকারি ইজারা ৩শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে গাবতলী হাট ইজারাদার। এছাড়া মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজিও হচ্ছে।

তিনি বলেন, কয়েক দফা দাবিতে ৭ দিনের ধর্মঘট করা হয়। এ ধর্মঘটের পর ইজারাদার উল্টো ক্ষেপে নির্যাতন ও চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে গরুর দাম বেশি পড়ছে। এতে করে গড় হিসেবে বেড়ে যাচ্ছে মাংসের দাম। সরকার এসব ঝামেলা দূর করে আমাদের দাম বেঁধে দিক। আমরা বেঁধে দেয়া দামেই মাংস বিক্রি করবো।

ক্রেতারা বলছেন, দিন দিন যেভাবে মাংসের দাম বেড়ে যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে গরুর মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তা না হলে কেনো মাংসের দাম বাড়তি নিয়ে প্রশাসনের মাথা ব্যথা নেই।

রমজানের দাম নিয়ে তারা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন। দাম নির্ধারণ করে কি লাভ হলো। মানুষ গরুর দামে মহিষের মাংস খাবে। যাদের টাকা আছে তারা হাজার টাকা কেজি হলেও মাংস খেতে পারবে। কিন্তু যাদের টাকা নেই তারা কি করবে?

গরুর গোশতের মতো দেশে মদ, নেশা, অশ্লীলতাও বন্ধ করুন’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ