বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাসনা মাদরাসার  বার্ষিক মাহফিল—আত্মশুদ্ধি ও রূহানিয়্যাতের মহামিলন সৌদিতে সভা-সমাবেশ নিয়ে কঠোর সতর্কতা বাংলাদেশ দূতাবাসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল স্মারকলিপি দেবে আজ প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল মালদ্বীপ 'বাঙ্গরাবাজার থানা’ উপজেলা হলে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হজ চুক্তি সই করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’

শীর্ষ তিন আলেমের মূল্যায়ন: কেমন ছিলেন আল্লামা আবুল ফাতাহ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : আজ সকালেই চলে গেলেন মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া। তিনি ছিলেন একাধারে আলেম, লেখক, খতিব, গবেষক ও শিক্ষক। তার এ বিস্তৃত কর্মক্ষেত্রে কাছ দেখেছেন এমন তিন জন শীর্ষ আলেম তাকে পেয়েছেন এবং কেমন দেখেছেন তাই তুলে ধরা হলো পাঠকের কাছে।

তিনি চির স্মরণী হয়ে থাকবেন
মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ, শায়খুল হাদিস, মালিবাগ জামিয়া

তিনি উদার মনের মানুষ ছিলেন। রসিক ছিলেন। সবসময় হাসি লেগে থাকত তার ঠোটে।

তিনি ছাত্র, শিক্ষক আলেম-ওলামা নিয়ে খুব ভাবতেন। তারা কিভাবে এলম ও আমলে তারাক্কি করতে পারে, দক্ষতা অর্জন করে জাতির খেদমত করতে পারে এসব বিষয় নিয়ে তিনি খুব ভাবতেব।

লেখালেখির ক্ষেত্রে তিনি গবেষণা কাজকে পছন্দ করতেন। আধুনিক বিষয় নিয়ে তিনি লিখতেন। তিনি যুগের চাহিদা অনুযায়ী কওমি সিলেবাসের সাথে কিছু আধুনিক বিষয় সংযোজন করার কথা বলতেন। তিনি আলেম সমাজের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

এক সাথে সারা রাত জেগে ছিলাম
আল্লামা আবদুর রাযযাক আল হোসাইনী, প্রবীণ মুহাদ্দিস ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মারকাযু শাইখিল ইসলাম আল মাদানী

তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তাঁর চিন্তা-চেতনা থেকে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। আকাবির আসলাফদের অনুসরণ, বাংলা সাহিত্য চর্চা ইত্যাদি বিষয়ে তিনি সবচেবেশি গুরুত্ব দিতেন।

আল্লামা আবুল ফাতাহ ছাত্র জীবিন থেকেই ছাত্র সমাজ নিয়ে ভাবতেন। তিনি ছাত্র ঐক্য পরিষদ গঠন করেন।এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য ছিল ছাত্রসমাজ বক্তৃতা, লেখালেখি, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ করে তোলা। জাতির জন্য খেদমত করবে।

পরবর্তীতে 'লাজনাতুত ত্বলাবা'র জন্য তার সাথে আমি অনেক সফর করেছি। ত্বলাবার তিনদিন সম্মেলনে আমরা মশার কামড় খেয়ে সারারাত এক সাথে জেগে ছিলাম। আমি এবং আমার ছাত্ররা দোয়া করছি আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমিন।

সবকিছুতেই তিনি ছিলেন ঈর্ষণীয়
মাওলানা আবূ মূসা, শেখ জনুুেদ্দীন রহ. দারুল কুরআন মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শাইখুল হাদিস

সবকিছুতেই তিনি ছিলের ঈর্ষণীয়। দরস থেকে শুরু করে জাতীয় জীবন, ব্যক্তি জীবন থেকে পারিবারিক জীবন সবকিছুতেই তিনি একজন সফল মানুষ বলেই আমি মনে করি।

তিনি একজন বিদগ্ধ আলেম ছিলেন। তালেবে ইলম, উলামায়ে কেরাম, দেশ ও দশের জন্য তিনি ভাবতেন। মানুষ ছিলেন। সবসময় তার চেহারায় হাসি লেগে থাকত।উনি সবসময় প্রেরণা জুগিয়েছেন। তিনি ছাত্রদের বলতেন, কখনো হীনমন্যতার শিকার হওয়া যাবে না। সাহস নিয়ে ্এগিয়ে যেতে হবে।

বেফাকের সিলেবাস প্রণয়নে হুজুরের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

শ্রুতি লিখন : মুহাম্মদ রকিব হাসান


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ