আওয়ার ইসলাম: আজ শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের ইফতা, উলুমুল হাদীস, তাফসীর, আদব বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ।
এতে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “দেশ-বিদেশের অসংখ্য লোক জানতে চেয়েছেন, আমি ২৫ তারিখ মিলাদ কিয়াম নিয়ে বাহাসে উপস্থিত থাকবো কি-না? তাই বলছি আমি ২৫ তারিখের বাহাস নিয়ে কাউকে চ্যালেঞ্জ করিও নাই, কারো চ্যালেঞ্জ গ্রহণও করিনি। তবে আমাদের শীর্ষ পর্যায়ের কিছু লোকজনকে মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী নাকি চ্যালেঞ্জ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে মুনাযির হিসেবে আমার নামটিও যুক্ত করে দিয়েছে। আমি আমার বিভিন্ন বক্তব্যে বলে আসছি যে, লা-মাযহাবী ও বেদআতীসহ যেকোন স্থানে বাতিলের বিরুদ্ধে যেকোন দিন যেকোন বাহাস করতে তৈরি আছি। আমার উক্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমার পক্ষের লোকজন আস্থা রেখে আমার নামটা হয়তো যুক্ত করে দিয়েছে।
সুতরাং ২৫ তারিখে যদি সঠিকভাবে চুক্তি অনুপাতে শান্ত পরিবেশে ইলমী বাহাস অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমি অবশ্যই উপস্থিত থাকবো ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, শুনতে পেলাম ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাদের মিলনায়তনে বাহাসের অনুমতি দেয়নি। বিকল্প স্থান হিসেবে জামেয়া মাদানীয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসাতে বাহাস হবে। হযরতুল আল্লাম মাহমুদুল হাসানের সাথে যোগাযোগ চলছে যেন তিনি অনুমতি প্রদান করেন। আশা করি অনুমতি দিবেন। তিনি কোন অবস্থায় যদি অনুমতি না দেন তবে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী’র সম্মতিতে যেখানেই স্থান ঠিক করা হবে সেখানেই ইনশাআল্লাহ বাহাস হবে। আমি সুস্থ থাকলে অবশ্যই উপস্থিত থাকবো; কারণ বিদআত ইসলামী সমাজের জন্য বড় ধরনের ক্যান্সার। রাসূল সা. এর মুহাব্বতের নামে জাতির ঈমান আমল বিধ্বংসী রোগ। এ সব ভ-দের মুখোশ উন্মোচন করা সকল হক্কানী আলেমদের ঈমানী দায়িত্ব।
তারপর ছাত্রদের নসীহত করে দোয়া পরিচালনা মাধ্যমে হযরত সবাইকে বিদায় দেন।
আল্লাহ হযরতকে দীর্ঘ হায়াত দান করুক। আমীন॥
আরও পড়ুন: ২৫ মে বাহাস নিয়ে বিভ্রান্তি ও কিছু কথা