শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: মুফতী ফয়জুল করীম আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করা বিস্ময় শিশু হাবিবুরকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা কাল বাংলাদেশে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, জেনে নিন সফরসূচি আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার: মাওলানা ফজলুর রহমান হেফাজতে ইসলাম পিরোজপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাতকাছেমিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন আগামীকাল থেকে শুরু

ভারতে তিন তালাকের হার ০.৩ শতাংশ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারতে তিন-তালাকের বৈধতা নিয়ে যখন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে, সেসময় এক সমীক্ষা বলছে সেদেশের মুসলিম সমাজে তিন তালাক দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বাস্তবে একবারেই নামমাত্র , ১ শতাংশেরও কম।

সমীক্ষাটি করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডিবেটস ইন ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিআরডিডিপি)। ১৬,৮৬০ জন মুসলিম পুরুষ এবং ৩৮১১ জন নারীর ওপর চালানো এই সমীক্ষাটি করা হয় এ বছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে।

সমীক্ষাটির নেতৃত্বে ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড আবু সালেহ শরিফ, যিনি ২০০৬ সালে ভারতীয় মুসলিমদের অনগ্রসরতা এবং বঞ্চনা নিয়ে গঠিত 'সাচার কমিটি'র অন্যতম একজন সদস্য ছিলেন।

সমীক্ষায় ৩৩১ টি মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এগুলোর এক-চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (যেমন কাজি) জড়িত ছিল।

তবে সমীক্ষায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফল হচ্ছে, ৩৩১টি ঘটনার মধ্যে কোনো সাক্ষীর উপস্থিতি ছাড়াই মুখে তিনবার তালাক উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ছিল মাত্র ১টি অর্থাৎ ০.৩ শতাংশ।

ড শরিফ ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেনে, "৩৩১ টি তালাক এবং খালাসের ঘটনায় তিন তালাকের ঘটনা ছিল মাত্র একটি। এটি অত্যন্ত জঘন্য কাজ, কিন্তু বাস্তবে এটি বলতে গেলে অনুপস্থিত।"

তিন তালাকের পর পুরুষদের একাধিক বিয়ের বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে ভারত

‘তিন তালাক’ ইস্যুটি অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে: সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী

তিনি বলেন, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করা হয়েছিল। তাদের অধিকাংশেরই কিছুটা শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে যেটা ভারতের গড় শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ড শরিফ বলেন, তিন তালাক নয় বরঞ্চ এই তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের পর নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টিই মুখ্য। বিচ্ছেদের পর নারীদের ভবিষ্যতের দিকে যেন সমাজ নজর রাখে, তারা যেন ঝামেলা ছাড়াই আবার বিয়ে করতে পারে - এ বিষয়গুলো কে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিবেচনায় নিতে হবে।

সূত্র : বিবিসি

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ