আওয়ার ইসলাম: সোমবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল। তবে এই ঘোষণাতেও মুসলিম পুরুষ সমাজ বা মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড নিশ্চিতভাবেই আপত্তি জানাবে।
শীর্ষ আদালত বলেছে, শুধুই তিন তালাক প্রথার সাংবিধানিক ভিত্তি নয়, সুপ্রিম কোর্ট মুসলিম পুরুষের একাধিক বিবাহ এবং নিকাহ-হালালার সাংবিধানিক ভিত্তিও খতিয়ে দেখবে।
সোমবার তিন তালাক মামলার শুনানিতে একথা বলেছে এ সংক্রান্ত পাঁচ বিচারপতির বিশেষ এজলাশ। এর আগে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ‘পলিগ্যামি’ ও নিকাহ- হালালা বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। শুধু তিন-তালাক প্রথাই বিচার্য।
এদিন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি সওয়ালে বলেন, অতীতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সাত বিচারপতির এক বিশেষ বেঞ্চের রায় উল্লেখ করেন এবং বলেন ওই রায়ে তিনটি প্রথাই বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। সুতরাং এই বেঞ্চ তিনটি প্রথার আইনি বৈধতার বিষয়টি বিচার করতে পারে। এরপরই শীর্ষ আদালত জানায়, তিন তালাক প্রথার আইনি ভিত্তির বিচার করির পর, বাকি দু’টি প্রথা নিয়েও সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে।
এদিকে, দেশের শীর্ষ আদালত যদি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক হিসাবে ঘোষণা করে ‘তিন তালাক প্রথা’ বাতিল করে দেয়, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদের নতুন আইন প্রনয়নে প্রস্তুত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে কেন্দ্রের তরফে এ কথা জানিয়েছেন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি। রোহতগি এদিন বলেন, মুসলিম মহিলাদের আত্মসন্মান ও সমানাধিকার খর্ব হচ্ছে এই তিন তালাক প্রথায়। গোটা দুনিয়ায় ভারতে মুসলিম মহিলাদের অধিকার নিয়ে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
‘তিন তালাক’ ইস্যুটি অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে: সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী