সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫


ঈদের পরে আন্দোলনে নামতে পারে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর-পরই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে বিএনপি। ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা’র দাবিকে সামনে রেখে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে রাজপথে নামতে চায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন দলটি।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই এ ব্যাপারে আমরা বলেছি। সব রাজনৈতিক দলকে এই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। আশা করি, ঈদের পরই আন্দোলন গতি পাবে।’

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ২০১৬ সালের ৩ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেও কার্যকর কোনও উদ্যোগ নিতে পারেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর গত বছরের ১৩ জুলাই বিএনপির সিনিয়র নেতা এবং ১৪ জুলাই বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। জাতীয়তাবাদী ঘরানার বুদ্ধিজীবীদের আহ্বান ছিল, বিএনপি যেন জামায়াত প্রশ্নে দলের অবস্থান পরিষ্কার করে। এ নিয়ে  ওই বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে দলটির দূরত্বও সৃষ্টি হয়। যদিও  এ বছরের ১২ মার্চ খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও লেখক মাহফুজ উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসূফ হায়দার। গত ১০ মে ভিশন ২০৩০ তৈরির পেছনে এই বুদ্ধিজীবীদের সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল।

বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবীরা চান, যেকোনও মূল্যে সরকারবিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যেন বিএনপি আন্দোলনে নামে। তাহলেই আন্দোলন সফল হবে বলে ধারণা বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের। এ ব্যাপারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তো বরাবরই বলে এসেছি, সরকার স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি গড়ে তোলা প্রয়োজন। বিএনপিই বলতে পারবে, এখন কী করবে।’

তবে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া ঈদের পর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে আগ্রহী। ১৩ মে শনিবার রাজধানীতে দিনব্যাপী একটি সেমিনার আয়োজন করেছে বিএনপি। ওই সেমিনারে বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উদ্বোধনী সেশনে সভাপতিও করেছে দলটি। যদিও অসুস্থ থাকায় তার সেমিনারে অংশগ্রহণ অনেকটাই অনিশ্চিত।

সূত্রের দাবি, সেমিনারে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে সভাপতি করা ইতিবাচক লক্ষণ। এক্ষেত্রে আগামী দিনে বিএনপির অন্যান্য অনুষ্ঠানে ভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দেখা যেতে পারে।

কিছুদিন আগেও অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেছিলেন, সম্প্রতি খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি তাকে পরামর্শ দিয়েছেন অন্ততপক্ষে খালেদা জিয়া যেন ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে টেবিল টক শুরু করেন।

এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, এর সূত্রধরেই রব সাহেব, কাদের সিদ্দিকীসহ বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে কথা হয়েছে। কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে দলের প্রধানের দেখাও হয়েছে। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে যে প্রচেষ্টা, সেটা তো অব্যাহত আছে।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়নি। চিন্তাভাবনা আছে। নেক্সট বৈঠকের পর এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।’

বিএনপির কেউ আ’লীগে যায়নি এটাই হাসিনার দুঃখ: ফখরুল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ