বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


আ. লীগের ২৬৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নাটোরের গুরুদাসপুরে পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লাসহ ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

জানা যায়, পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ওই মামলা করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

শুক্রবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস।
শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ৬৭জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাসিক মিটিংয়ের নির্ধারিত সময় ছিল। মিটিংয়ের প্রধান অতিথি ছিলেন গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। মিটিং শুরুর আগ মুহূর্তে গুরুদাসপুর পৌর মেয়র শাহ নেওয়াজ আলী মোল্লার সমর্থকরা একটি মিছিল নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাইদুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম ও তিনজন কনস্টেবলসহ মোট ১০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করলে মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মদদে পুলিশ তার দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশের ছোড়া গুলিতে তার চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, শাহনেওয়াজ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

ধর্ষণ থেকে বাঁচতে নারীর জন্য অস্ত্র ব্যবহার কি জায়েজ?


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ