শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাউফল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার দুই দিনের ইসলামি মহাসম্মেলন সম্পন্ন খোদাদ্রোহীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই সদরপুরে বাউল আবুল সরকারের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মানববন্ধন ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’: চার সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর সংকেত ‘পর্যাপ্ত জ্ঞান ছাড়া ধর্ম নিয়ে মন্তব্য ও ব্যাখ্যা থেকে বিরত থাকুন’ জামিআ ইসলামিয়া বাইতুল আমানের ওয়াজ মাহফিল ২৪ ডিসেম্বর ‘বৈশ্বিক অঙ্গনেও প্রতিযোগিতার উপযোগী করে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে’ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের পক্ষ নিয়ে তারা কাদের খুশি করতে চান? এবারও গ্রন্থ সম্মাননা দেবে ইসলামি লেখক ফোরাম, বই আহ্বান

গরুর জন্য অ্যাম্বুলেন্স, মৃতদেহ যাচ্ছে কাঁধে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে যেদিন গরুর জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করলেন সেখানকার উপ-মুখ্যমন্ত্রী, সেই দিনেই অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত সন্তানের দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক বাবা।

এটাওয়ার সরকারী হাসপাতালে ১৫ বছরের গুরুতর অসুস্থ ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন দিনমজুর উদয়বীর সিং।

জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার মি: সিংকে জানান যে তাঁর ছেলে পুষ্পেন্দ্রর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।

কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিককে উদয়বীর সিং জানিয়েছেন, "ডাক্তার মাত্র ৫ মিনিট দেখেই বলে দিল যে ছেলে মারা গেছে, ওকে নিয়ে যাও। দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে কোন অ্যাম্বুলেন্স বা কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়নি। গাড়ি ভাড়া করার ক্ষমতা নেই আমার, তাই বাধ্য হয়েই ছেলের দেহ কাঁধে চাপিয়ে বাড়ি ফিরেছি।"

এটাওয়ার মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিক রাজীব যাদবের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "সে সময়েই একটা পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সম্ভবত চিকিৎসকরা তাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়াতেই ওই কিশোরের জন্য মৃতদেহ বহনকারী গাড়ির ব্যবস্থা করা যায়নি। নি:সন্দেহে এটা লজ্জাজনক ঘটনা। কর্তব্যরত ডাক্তারদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তদন্তও শুরু হয়েছে।"

এটাওয়ার সরকারী হাসপাতালটিকে রাজ্যের সেরা হাসপাতাল বলে মনে করা হয়। এই এলাকা থেকেই দীর্ঘদিন নির্বাচিত হয়ে আসছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব।

সে হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার পাশাপাশি মৃতদেহ বহনকারী গাড়িও রয়েছে বলে দাবী করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সত্যটা এ ঘটনায় প্রকাশ পেল।

যে সময়ে উদয়বীর সিং কাঁদতে কাঁদতে হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন কেউ একজন সে ছবিটা মোবাইলে তুলে নেয়। তারপরে সেটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে বলে জানাচ্ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক দিনেশ শাক্য।

উদয়বীরকে ছেলের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হল এমন এক দিনে, যখন এটাওয়া থেকে প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরে রাজধানী লখনৌতে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য উদ্বোধন করছিলেন গরুদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিসেবার।

'গো-বংশ চিকিৎসা মোবাইল ভ্যান' নামের সে পরিসেবা আহত এবং অসুস্থ গরুকে গোশালা বা পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছিয়ে দেবে। সঙ্গে একজন পশু চিকিৎসক এবং একজন সহকারীও থাকবেন। চালু হবে 'গো-সেবা বিনা শুল্কের টেলিফোন নম্বরও।

মি. মৌর্য সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

এর আগে ওড়িশা রাজ্যে দানা মাঝি নামের এক অত্যন্ত গরীব নিজের স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে হাসপাতাল থেকে হেঁটে ১২ কিলোমিটার দূরের বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন শববাহী গাড়ি না পেয়ে। পাশে তাঁর কিশোরী কন্যা কাঁদতে কাঁদতে ফিরেছিল।

একই ধরনের ঘটনার খবর অন্যান্য রাজ্য থেকেও পাওয়া গেছে।

সূত্র: বিবিসি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ