রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন

ভিক্ষুদের রোষানলে এবার ইয়াঙ্গুনে মাদরাসা বন্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিয়ানমারের এবার সাম্প্রদায়িক বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দাবির মুখে বন্ধ হচ্ছে মাদরাসা। এর ফলে ইয়াঙ্গুন শহরে মুসলিম শিশুদের শিক্ষা হুমকির মুখে পড়বে।

প্রায় ১৫-২০ জন ভিক্ষু ও তাদের শতাধিক সমর্থক শুক্রবার বিকেলে দুটি মাদরাসার কাছে সমবেত হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে তারা দাবি তোলে যেন মাদরাসা ভবনগুলো বন্ধ করে দেয়। এই সময় অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ।

প্রায় তিন ঘন্টা বাদানুবাদের পর কর্মকর্তারা ভবনগুলো বন্ধ করতে সম্মত হয়। ভিক্ষুরা দাবি তুলেছেন, ভবনগুলো অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে।

২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বৌদ্ধ ও মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকেই মিয়ানমারের বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মধ্যে সহিংসতা ও দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ে। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে অভিযোগ করা হয় তারা বাংলাদেশ থেকে রাখাইন প্রদেশে প্রবেশ করেছে।

বিক্ষোভকারী ভিক্ষু ও তাদের খুশি করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে খুব ভালোভাবেই মাদরাসাগুলো বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাগ্যে কি ঘটবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা তিন শোয়ে বলেন, ‘আজকে যা ঘটলো তা আমার কাছে খুবই দুঃখজনক। আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমাদের ধর্ম নিয়ে খেলা করা হচ্ছে। এসব ভবন নির্মিত হয়েছে বহু বছর আগে এবং আমাদের বিভিন্ন প্রজন্ম এগুলোর দেখাশোনা করে আসছে।

এর আগে মুসলিমবিরোধী কার্যক্রম চলেছে ইয়াংগুনের বাইরে। এসব কার্যক্রমের লক্ষ্য ছিল মুসলিমদের প্রাতিষ্ঠানিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব রাজনৈতিককর্মীরা ভবন দখল করে নিয়েছে এবং সেগুলোর অবকাঠামো তছনছ করে দিয়েছে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা এলাকায় প্রাচীন মসজিদে জ্বালিয়ে দিল চরমপন্থীরা


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ