আওয়ার ইসলাম : সুনামগঞ্জসহ দেশের বন্যাকবলিত হাওরাঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। একই সঙ্গে তিনি হাওরাঞ্চলের কৃষকদের আগামী বৈশাখী ফসল তোলার আগ পর্যন্ত সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি অব্যাহত রাখারও দাবি জানান তিনি।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, হাওড় অঞ্চলের মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এনজিওগুলো তাদের ঋণের দৌরাত্বের মোকাবেলায় সরকারিভাবে সুদবিহীন ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু না হলে সেটাকে দুর্যোগ বলা হয় না। সচিব মহোদয় নাকি বলেছেন কোনো এলাকায় অর্ধেক লোক মারা না গেলে সেখানে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা যায় না, এটা ঠিক নয়। মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা উচিত। পীর সাহেব চরমোনাই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দেশবাসী, বিত্তবান ও বিভিন্ন সংগঠন, সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সকলের প্রতি আহ্বান।
বেফাকের পরীক্ষা বনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা
দোষ প্রমাণের আগে কাউকে ‘রাজাকার’ বলা যাবে না
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি-অনিয়মের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ হওয়া দরকার। হাওর এলাকায় ঠিকাদারদের অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্থানীয় এমপির বাড়িতে হামলার ঘটনার তদন্তও দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ সময় তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাটোর জেলা সভাপতি ও নাটোর বারের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট আজিজার রহমান খান (আমেল খান) কে গ্রেপ্তার করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সম্প্রতি নাটোর শহরে মেলার নামে জুয়ার আসর বসিয়ে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি। অ্যাডভোকেট আমেল খান চৌধুরী স্থানীয় সচেতন জনগনকে নিয়ে জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি পেশ ও মানববন্ধন করেন তিনি। সর্বশেষ মেলার আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা এলে আসামিদের বিরুদ্ধে সমনের নির্দেশ দেয় আদালত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বার্থান্বেষী মহল স্থানীয় এমপির সহযোগীতায় তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে তাকে হয়রানির পথ বেছে নিয়েছে। আমরা এহেন গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
-এআরকে