শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫


সহজ করা হচ্ছে মাধ্যমিকের পাঠ্যবই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গত কয়েক বছর ধরে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্য বই পরিবর্তনে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। এমনও হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার তিন মাস আগে পাঠ্য বই পরিবর্তন হয়েছে। ঘনঘন বই পরিবর্তন এবং কঠিন পাঠ্য সংযোজনের কারণে শিক্ষার্থী এমনকি শিক্ষকদেরকেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিভিন্ন সময়।

ছাত্রদের সহজবেধ্যতার কথা মাথায় রেখে এবার সংশোধন হচ্ছে মাধ্যমিকের পাঠ্য বই। সহজ করে লিখা হবে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, বিশিষ্ট লেখকদের সহায়তায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২টি বই সহজ করে লেখা হচ্ছে। আগামী বছরই এসব বই শিক্ষার্থীদের কাছে যাবে। একই সঙ্গে আইন করে গাইড বই ও কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন-বিষয়ক বৈঠকে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৈঠকে একাধিক শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক শিক্ষার কারিকুলাম, পাঠ্যবই, পাবলিক পরীক্ষা, উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষকদের পাঠদান সম্পর্কে একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আর শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের এসএসসির উত্তরপত্র মূল্যায়ন করছেন শিক্ষকরা। বিশিষ্ট লেখকদের সহায়তায় প্রথম ধাপে ১২টি পাঠ্যবই সহজ করে লেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘এই বইগুলো হচ্ছে বাংলা সাহিত্য, ইংলিশ ফর টুডে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, বাংলাদেশ ও বিশ্ব সভ্যতা, গণিত, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান। অনেক সহজ করা যাবে, অনেক কমিয়ে নিয়ে আসা যাবে এবং অনেক বিষয় যা বেশি জানা উচিত সেগুলোই আনা যাবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন আইনের মধ্যে আমরা নিয়ে আসব যে গাইড বই থাকবে না, কোচিং বাণিজ্য চলবে না। এ ধরনের বিষয়ের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত হবেন তার জন্য কঠিন শাস্তি। এ ব্যাপারগুলো আইন করে আমরা নিয়ে আসছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘কোনো ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করব। যদি কোনো জটিল থাকে, সেটাকে যদি সহজ করা যায়, সহজ করব। সংবিধানের বিরুদ্ধে কোনো কথা থাকলে আমরা বিবেচনা করব।’

শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘শিক্ষার পেছনে আরো অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। সেটা আমাদের দেশের জন্যই লাভ হবে। পত্রপত্রিকায় দৈনিক শিক্ষাপাতা বা এগুলোর নামে যে গাইড বই ছাপানো হয়, তা বন্ধ করতে হবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ