সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুন: সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মরক্কোতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ দাওয়াত ও তাবলিগের নীরব বিপ্লব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য-কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে বাস পাল্টায়, গন্ধে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ধরা খেল তরুণী দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সত্তর হাজার কালেমা পড়লে কি মাগফিরাত পাওয়া যায়? ঢাবির হল রিডিংরুমে বসছে এসি, সংস্কার হবে ক্যান্টিনও: ডাকসু জিএস ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসা ছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী গ্রেপ্তার. ইসলামকে একটি বার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ শায়খে চরমোনাইয়ের

আরএসএস শিশুদের মানুষ হত্যার পাঠ দিচ্ছে: পি বিজয়ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারতের কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআই(এম) নেতা পি বিজয়ন বলেছেন, ‘আরএসএস শিশুদের সহিংসতার পাঠ দিয়ে হত্যা করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সংগঠনটি তাদের মতাদর্শ অনুসারে শিশুদের সহিংস করে তোলার দিকে ঝুঁকেছে।’ বিধানসভায় বিধায়ক জন ফার্নান্ডেজের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

আরএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী পি বিজয়ন বলেন, ‘আরএসএস শিক্ষার্থী এবং শিশুদেরও হত্যার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’

তিনি সম্প্রতি মাদ্রাসার এক আলেমকে হত্যা ও জগন্নাথ মন্দিরে সহিংসতাকে 'আরএসএসের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফল' বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এ সবের মাধ্যমে আরএসএস সমাজে সাম্প্রদায়িক বিষ ঢালতে চাচ্ছে।

বিজয়ন বলেন, ‘এক অজ্ঞাত ব্যক্তি মসজিদ চত্বরে ঢুকে মাওলানাকে গলা কেটে হত্যা করে। তদন্ত রিপোর্টে প্রকাশ, ওই মাওলানাকে হত্যা সামাজের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার ফল। মাদ্রাসার মাওলানাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা ছিল না বা এ নিয়ে কোনো অভিযোগও ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর পিছনে আরএসএসের একটাই উদ্দেশ্য ছিল সমাজে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং উত্তেজনা ছড়ানো। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ও সরকার সময় থাকতেই তা ব্যর্থ করে দিয়েছে।’

গত মার্চে মুহাম্মদ রিয়াজ (৩০) নামে এক আলেমকে দুর্বৃত্তরা জামা মসজিদ চত্বরে থাকা একটি কামরায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় অজেশ আপ্পু, অখিল এবং নীতিন নামে আরএসএসের তিন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কর্ণাটকের বাসিন্দা ওই আলেম কেরালার স্থানীয় এক মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘থালসিরিতে এক মন্দিরে অনুষ্ঠানের সময় বিজেপি এবং সিপিএম কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়। আরএসএস রাজ্য জুড়ে মন্দির ও বিদ্যালয়ের পাশে লোকেদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এসব বন্ধ করার জন্য সরকার কেরালা পুলিশের আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেবে যাতে মানুষকে সহিংস হওয়া থেকে রক্ষা করা যায় এবং তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ বন্ধ করা যায়।’

আরএসএস কর্মকর্তারা অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে একে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

আরএসএস-এর কিশোরী কর্মীরা

এর আগে গত মার্চে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পি বিজয়নের মুণ্ডচ্ছেদ করতে পারলে তাকে এক কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন কুন্দন চন্দ্রাবত নামে আরএসএসের এক নেতা। পি বিজয়ন সেসময় বলেন, ‘আরএসএস আগেও অন্যদের মাথা কেটেছে। কিন্তু আমাকে তো ঘোরাফেরা করতেই হবে এবং আমি তা করবও।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ মারাই ওদের কাজ। ওই ঘটনা নতুন কিছু নয়। ওরা মুসোলিনির সাংগঠনিক পরিকাঠামোকে অনুসরণ করে হিটলারের ভাবাদর্শে চলে।’ এবার ফের রাজ্য বিধানসভায় আরএসএসের বিপদ সম্পর্কে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী পি বিজয়ন।

সূত্র : পার্সটুডে

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ