আওয়ার ইসলাম: আগামী নির্বাচনে যাতে সব দল অংশগ্রহণ করে এই বিষয়ে দুই দলকে এক টেবিলে আলোচনায় বসিয়েছিল ‘ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়েছে। দুই দলই একে অন্যকে দুষেছে। তবে নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন আগামী নির্বাচনে দুই প্রধান দলই অংশ গ্রহণ করবে।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এ ছাড়া দুই দলের তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন। এ জন্য আমি বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করব তাঁদের এই ঘোষণা অনুযায়ী তাঁরা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। আমরা চাই আগামী নির্বাচন একটি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচন হোক।’
বিএনপি নেতা মঈন খান হাছান মাহমুদকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি উপলব্ধি করেছেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচনটি হয়েছিল, যেখানে কোনো বিরোধী দল ছিল না, সে নির্বাচনটি আসলে সঠিক হয়নি। এবং সেটি তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন বলেই তিনি কিন্তু আজ সানন্দে আমাদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।’
দুই দলের সম্পর্কের ব্যাপারে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান বলেন, ‘এক টেবিলে বসতে চায় না, একসঙ্গে কথা বলতে চায় না।’ এ কারণে ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনালকে আরো কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তরুণ নেতৃত্বকে আমি বলব এগিয়ে আসার জন্য। অন্যরাও নিশ্চয়ই পিছিয়ে থাকবেন এটা আমি মনে করি না। তাঁরাও এগিয়ে আসবেন।’
সুইসাইড নোট প্রকাশ, যে কারণে আত্মহত্যা করেন কনস্টেবল হালিমা