ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী বলেছেন, জঙ্গিবাদ রুখতে হলে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রয়োজন। আর এই ঐক্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে করতে হবে। রাষ্ট্রের ভেতরে রান্না ঘর থেকে শুরু করে পার্লামেন্ট পর্যন্ত কোন কিছু রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলতে পারে না। একটা দেশে একই ধাঁচের দুই রকম শিক্ষাধারা সার্বিক ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করবে। দেশের মাদরাসা শিক্ষাধারা একই নিয়মনীতির অধীনে চলতে হবে। নতুবা আলীয়া ও কওমি শিক্ষাধারা আলাদা নিয়ন্ত্রণে থাকলে অস্থিরতা ও পারস্পরিক আস্থাহীনতা তৈরি হবে। এ কারণে কওমি ও আলীয়া শিক্ষাধারাকে একই বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডের ছায়াতলে এনে দ্বীনের দাওয়াতে একটি দেশপ্রেমিক নাগরিক শ্রেণি সৃষ্টি করতে হবে।
আজ শনিবার সকাল দশটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শেখ ফরিদ মজুমদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ছাত্র সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক জননেতা এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আরও বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মুহাম্মদ শাহীদ রিজভী, মিনহাজুল কোরআন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আল-আযহারী, ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ছাত্রনেতা এম মনির হোসাইন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম নাঈমউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা কফিলউদ্দিন রানা, অর্থ সম্পাদক গোলাব হাসিব, নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি রাহাত হাসান রাব্বী, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক সামিউল শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা কামালসহ আরও অনেকে।
বক্তারা আরও বলেন, ইসলামের সঠিক রুপরেখা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের দাওয়াত সঠিকভাবে সর্বত্র পৌঁছালে জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সবাই সচেতন হতে পারবে। সেই আদর্শ যথার্থভাবে ছাত্রসমাজের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে ইসলামী ছাত্রসেনা। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বন্দী পিতার উদ্দেশ্যে ফিলিস্তিনি মেয়ের আবেগঘন চিঠি
কওমির মাস্টার্সের মান নিয়ে কী ভাবছেন ঢাবি’র শিক্ষার্থীরা?
আরআর