যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রিন্স খালেদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ। তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের ছেলে এবং বিমানবাহিনীর একজন পাইলট।
গতকাল রবিবার রাষ্ট্রায়ত্ত সৌদি প্রেস এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
প্রিন্স আবদুল্লাহ বিন ফয়সাল বিন তুর্কির স্থলাভিষিক্ত হবেন প্রিন্স খালেদ। প্রিন্স আবদুল্লাহ মাত্র এক বছর ওয়াশিংটনে সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সুসম্পর্ক কয়েক দশকের পুরনো। এই সম্পর্কের দেনা-পাওনার হিসাবটা হলো, সৌদি আরব তেল দেবে, বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাবে তারা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বসার পর এ সম্পর্ক আরো ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়েছে। বিশেষ করে বারাক ওবামা প্রশাসনের শেষ দিকে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়। সৌদি নেতারা ভাবতেন, ওবামা প্রশাসন সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে জড়াতে চায় না এবং সৌদির আঞ্চলিক শত্রু ইরানের বিরুদ্ধেও তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
তবে ট্রাম্প আসার পর সৌদি আরব ‘সন্তুষ্ট’। কারণ ইয়েমেনে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। সিরিয়া ও ইরাকেও আগের চেয়ে সক্রিয় হয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি ইরানকে কটাক্ষ করে প্রায়ই মন্তব্য করছেন ট্রাম্প। এমনকি গত বৃহস্পতিবারও ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।
‘সৌদি আমেরিকান পাবলিক রিলেশন অ্যাফেয়ার্স কমিটি’র (এসএপিআরএসি) প্রেসিডেন্ট সালমান আল-আনসারি জানান, সৌদি বিমানবাহিনীর একজন পাইলট হিসেবে প্রিন্স খালেদ আইএসবিরোধী অভিযানেও অংশ নিয়েছেন। ‘তিনি একজন গোছানো এবং পরিশ্রমী মানুষ। এ ছাড়া কখন কী করতে হবে, সে বিষয়েও ভালো জ্ঞান রাখেন তিনি। ’
উল্লেখ্য, বাদশাহ সালমানের আরেক ছেলে উপ-যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানেরও সৌদি রাজবংশে ব্যাপক আধিপত্য। বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন তিনি। বলা হয়, ভবিষ্যতে বাদশাহ সালমানের আসনে তাঁর বসার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। সূত্র : এএফপি।