শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যা: ৩ মে ঢাকাসহ সারা দেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ তীব্র গরমে আলোকিত মানিকছড়ি জনকল্যাণ সংস্থার প্রশংসনীয় উদ্যোগ ফরিদপুরের দুই শহীদ পরিবারের পাশে হেফাজত নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৭৫ নেতা বহিষ্কার ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু টানা তাপপ্রবাহে ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষায় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ৫ নির্দেশনা ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে’  মন্দিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তভিত্তিক বিচারের দাবি ইসলামী আন্দোলনের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া উচিত: কাদের

আইএস ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই : হামিদ কারজাই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জঙ্গি সংগঠন আইএসের মধ্যে তিনি কোনো পার্থক্য নেই।

চলতি সপ্তাহে ভয়েস অফ আমেরিকার (ভিওএ) আফগান শাখাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে কারজাই সরাসরি বলেন, 'আমি দায়েশ (আইএসের আরবি নাম) ও আমেরিকার মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না। '

ওই সাক্ষাৎকারে আবারও তিনি আফগানিস্তানে জিবিইউ-৪৩ ম্যাসিভ অর্ড্যান্স এয়ার ব্লাস্ট (এমওএবি) বা 'সব বোমার মা' বোমা বিস্ফোরণের নিন্দা জানান। সেই হামলায় ৯৫ আইএস জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করলেও কারজাই বলেন, এই হামলায় আইএসের তেমন কিছুই হয়নি।

'তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আফগানিস্তানে বোমা ফেলার পরও তো দায়েশ নিশ্চিহ্ন হলো না!  কারজাই বলেন , তারা আফগানিস্তানের ওপর আণবিক বোমা ফেলেছে- 'সব বোমার মা' আর একটি আণবিক বোমার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমি দায়েশকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাতিয়ার মনে করি।

২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা হামিদ কারজাইয়ের যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে বেশ তিক্ত হয়ে উঠেছে। তিনি বেশ কয়েকবার তালেবানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও আফগানিস্তান অস্থিতিশীল করার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।

এমনকি ২০১৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশটির বাগরাম সামরিক ঘাঁটিতে আকস্মিক সফরে গেলেও তার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি কারজাই। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের অবনতির কারণে তিনি আরও বেশি অখুশি। ভিওএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আয়োজিত এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রর অংশ না নেওয়ার কারণই ছিল সেটি রাশিয়ার উদ্যোগ বলে।

কারজাইয়ের অভিযোগ, এভাবে আলোচনায় যোগ না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেখিয়ে দিয়েছে, তারা আফগানিস্তানে শান্তিস্থাপন প্রচেষ্টার ব্যাপারে উদাসীন।

তিনি বলেন, 'রাশিয়া তালেবানের সঙ্গে বৈঠক করে। যুক্তরাষ্ট্রও তালেবানের সঙ্গে বৈঠক করে। নরওয়ে, জার্মানি এবং অন্যান্য দেশগুলোও তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। রাশিয়ার অবশ্যই তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসার অধিকার রয়েছে। সুত্র:অনলাইন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ