ইমদাদ ফয়েজী, সিলেট প্রতিনিধি
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর, জামেয়া মাদানিয়া কাজিরবাজার এর প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান বলেছেন, দু’শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কওমী শিক্ষার স্বীকৃতি প্রদান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, কওমী মাদরাসা এদেশের তৃণমূল জনসাধারণের সাথে সম্পৃক্ত, সাধারণ জনগণের অর্থ-সাহায্যের মাধ্যমে তা পরিচালনা করে। কওমী শিক্ষার স্বীকৃতির কারণে দেশের মানুষ আনন্দিত। তবে গুটি কয়েক বাম ও মাজারপন্থীদের গা জ্বালা শুরু হয়েছে। কেননা কওমী মাদরাসা সকল বাতিল ও নাস্তিকদের ত্রাস। মুশরিক ও কমিউনিষ্টরা এসব দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের উন্নতি মেনে নিতে পারে না।
প্রিন্সিপাল হাবীব কওমী স্বীকৃতি ও সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত মূর্তি অপসারণের ঘোষণা দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, যত দ্রত স্বীকৃতি বাস্তবায়ন হবে এবং মূর্তি অপসরণের ঘোষণা বাস্তবায়ন হবে, ততো বেশি দেশ-জাতির কল্যাণ হবে।
প্রধানমন্ত্রী মূর্তি পছন্দ করেন না বলে নিজ ঈমানের বহিঃপ্রকাশ করেছেন। দ্রত মূতি অপসারণের মাধ্যমে সেই ঈমানী চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি গতকাল বুধবার ঐতিহ্যবাহী জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার এর উদ্যোগে কওমী শিক্ষার স্বীকৃতি ঘোষণায় শোকরানা মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জামেয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা সামিউর রহমান মুসার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামেয়া মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, মাওলানা মুসফিকুর রহমান মামুন, মাওলানা ফাহাদ আমান, ছাত্রনেতা তারেক বিন হাবিব, হাজী আব্বাস জালালী, নূর আহমদ সুমন, ইকরামুল হক জুনাঈদ, আবুল হুসাইন জিরান, হাফিজ কয়েছ আহমদ, মঈন উদ্দীন, হাফিজ হিফজুর রহমান প্রমুখ।
এআরকে