শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


পরকীয়ার জেরে শশুরের হাতে জামাই খুন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ঢাকার কেরানীগঞ্জে স্ত্রীর ‘পরকীয়ার জের ধরে’ শ্বশুরের হাতে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁর নাম জুয়েল রানা (৩৩)।

আজ বুধবার সকালে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল প্রজেক্টের কাছে একটি সেতুর নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানা পুলিশ।

নিহত জুয়েল রানার ভাই মেহেদী হাসান জানান, জুয়েল রানা ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা থানায়।

স্থানীয় লোকজন ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাত বছর আগে কেরানীগঞ্জের জাহাঙ্গীর শেখের মেয়ে চম্পা আক্তার আঁখির (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জুয়েলের। আঁখি ঢাকা মহানগর কলেজের অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ছেন। বিয়ের পর থেকেই আঁখি তার নিজের বাবার বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন। জুয়েল শ্বশুড়বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। বছরখানেক আগে জুয়েল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ শুরু করেন। আঁখি প্রায়ই মোবাইল ফোনে অন্য ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতেন। এ নিয়ে সম্প্রতি আঁখির সঙ্গে জুয়েলের ঝগড়া হয়। এতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর জুয়েল রাগ করে কেরানীগঞ্জের শ্বশুড়বাড়ি থেকে চলে যান।

২০ দিন আগে  জুয়েল ও তাঁর স্ত্রী আঁখি বরিশালে কিছু দিনের জন্য ঘুরে আসেন। ফিরে এসে জুয়েলকে ঢাকায় আলাদা বাসা নিতে বলেন আঁখি। তারা মিরপুর এলাকায় শেওড়াপাড়ায় ভাড়া বাসা নেন। গত ১৫ এপ্রিল গিয়ে সেখানে ওঠেন তাঁরা। পরের দিন তাঁরা জুয়েলের খালুর বাসায় বেড়াতে যান। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর জুয়েলের শ্বশুর আঁখিকে ফোন করে জামাইকে নিয়ে কেরানীগঞ্জে যেতে বলেন। কিন্তু জুয়েল যেতে রাজি হননি। আঁখির পীড়াপিড়িতে জুয়েল শ্বশুরবাড়ি যান। এরপর  গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঝিলমিল প্রজেক্ট এলাকা থেকে জুয়েলের লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

[caption id="" align="alignnone" width="650"] জুয়েল রানার শ্বশুর জাহাঙ্গীর শেখ[/caption]

নিহত জুয়েলের বাবা এ এস এম হারুনুর রশিদ বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জুয়েলের স্ত্রীর সঙ্গে আঁখির ঝগড়া চলে আসছিল। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ছেলে জুয়েলের মোবাইলে ফোন দিলে নম্বর বন্ধ পান তিনি। আজ সকালে তাঁর নম্বরে ফোন দিলে এক পুলিশ সদস্য ফোন রিসিভ করে জানান, তাঁরা জুয়েলের লাশ উদ্ধার করেছেন।

এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বলে জানান হারুনুর রশিদ। মামলায় তাঁর ছেলের বউ আঁখি, জুয়েলের শ্বশুরসহ ছয়জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শশক (এসআই) কবির হোসেন জানান, সকালে ঝিলমিল প্রজেক্ট এলাকা থেকে জুয়েলের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রিন্স মুসা ‘প্যারালাইজড, কথা বলতে পারছেন না’

এক রশিতে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ