শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

কওমি সনদের মান আগেও ছিলো, জিয়ার আমলে বাতিল হয়: শায়খুল হাদিস ইয়াহইয়া মাহমুদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেছেন, ইসলামিক স্টাডিজের এমএ’র মর্যাদা নতুন কিছু নয়। নিচের স্তরের সনদ ব্যতীত তাকমিলের মান দেয়ায় আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে এমএ’র মান না থাকলেও একটা মর্যাদা ছিল। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তা বাতিল করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই সময় ইনকিলাব প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা আবদুল মান্নানের ভূমিকা ছিল এতে।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়াহইয়া এসব কথা বলেন।

 ইয়াহইয়া মাহমুদ উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, আশির দশকে জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার হেড মাওলানার দায়িত্বে এসেছিলেন। মাওলানা উবায়দুল হক এর পদ ছিল যুগ্ম সচিব পর্যায়ের। অথচ তার কোনও সরকারি সনদ ছিল না। শুধু কওমি মাদ্রাসার সনদই ছিল। প্রশ্ন উঠেছিল তাকে স্কেল দেওয়া হবে কিনা। তখন একটা কমিটি গঠন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন ডক্টর মুহাম্মদ ইসহাক। তার সভাপতিত্বে এই কমিটি যাচাই বাছাই করে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছিল যে, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের মান কেবল আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের নয়  বরং তারচেয়ে বেশি।

প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা বিশ লাখ শিক্ষার্থীর জীবনের গতিসঞ্চারিত করার জন্য তিনি যে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছেন। তাতে দেশের একজন মহৎ ও উদার অভিভাবকের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কওমি ঘরানার প্রায় তিন কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। তাই কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! ১১ এপ্রিলের কওমি সনদের স্বীকৃতির ঘোষণার পর প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। আমরা আশা করবো, খুব শিগগিরই সংসদে পাশ করে এই ঘোষণাকে একটি আইনে পরিণত করার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ