আওয়ার ইসলাম : কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেছেন, ইসলামিক স্টাডিজের এমএ’র মর্যাদা নতুন কিছু নয়। নিচের স্তরের সনদ ব্যতীত তাকমিলের মান দেয়ায় আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে এমএ’র মান না থাকলেও একটা মর্যাদা ছিল। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তা বাতিল করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই সময় ইনকিলাব প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা আবদুল মান্নানের ভূমিকা ছিল এতে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়াহইয়া এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা বিশ লাখ শিক্ষার্থীর জীবনের গতিসঞ্চারিত করার জন্য তিনি যে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছেন। তাতে দেশের একজন মহৎ ও উদার অভিভাবকের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কওমি ঘরানার প্রায় তিন কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। তাই কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! ১১ এপ্রিলের কওমি সনদের স্বীকৃতির ঘোষণার পর প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। আমরা আশা করবো, খুব শিগগিরই সংসদে পাশ করে এই ঘোষণাকে একটি আইনে পরিণত করার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
-এআরকে