তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটান গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ড্রুক এয়ারের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা ঢাকা থেকে রওনা হন।
এই সফরে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর রয়্যাল ব্যাঙ্কোয়েট হলে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডারস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
ভারত সফর করে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি দেশে সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। পারো বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও থিম্পুতে ঢাকার রাষ্ট্রদূত যিষ্ণু রায় চৌধুরী। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা শেষে মোটর শোভাযাত্রা করে প্রধানমন্ত্রীকে থিম্পুর লো মেরিডিয়ান হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। সফরের পুরোটা সময় এ হোটেলেই থাকবেন তিনি।
বিকালে প্রধানমন্ত্রীকে ভুটানে রাজকীয় প্রাসাদে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হবে। সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ও রানি জেটসান পেমার সঙ্গে দেখা করবেন শেখ হাসিনা।
এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন শেখ হাসিনা, ভুটানের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।
দ্বৈত কর প্রত্যাহার, বাংলাদেশের নৌপথ ভুটানকে ব্যবহার করতে দেওয়া, হেজো-তে চ্যান্সেরি ভবনের জন্য বাংলাদেশকে জমি দেওয়া, কৃষি, সংস্কৃতি ও পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো সই হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী