সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

আদা হাজার রোগের মহৌষধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি হলে আদা খেলে বেশ ফলদায়ক ঔষধের কাজ করে।এক টুকরো কাঁচা আদা হাজারো রোগ-ব্যাধির যম।

হাত-পায়ের জয়েন্টে ব্যথা কিংবা বমি বমি ভাব বা মাথা ঘুরালে  হাতের কাছেই চটজলদি সমাধান আদা। আদা কুচি বা আদা বাটা রান্নায় আনে দারুণ টেস্ট। একটু আদার কুচি বা আদা থেঁতো করে চায়ে দিলে বদলে যায় চায়ের স্বাদ। এসবই আমরা কমবেশি জানি।

কিন্তু এক টুকরো কাঁচা আদাই মহৌষধ। ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে ৮০ ক্যালরি এনার্জি। কার্বোহাইড্রেট ১৭ গ্রাম। ফ্যাট ০.৭৫ গ্রাম। পটাসিয়াম ৪১৫ মিলিগ্রাম এবং ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস। অর্থাৎ, আদা মানেই এক সুষম সবজি। আদার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরের রোগজীবাণুকে ধ্বংস করে। তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদাই বেশি উপকারি।

আদা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। লিভার ও রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল জমা আটকায়। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। অতিরিক্ত মেদ ঝরায় আদা। ডায়াবেটিস জনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আদা ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করে। বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা উপকারি। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

আদায় রয়েছে অ্যান্টিএইজিং উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের টক্সিন দূর করে ও রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলতে হবে আদা। যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ওষুধ খান, তাদের ডায়েট চার্ট থেকে চিরতরে ডিলিট করে দিতে হবে আদা। একই কথা প্রযোজ্য উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রেও। অন্তঃসত্ত্বাদের এড়িয়ে চলতে হবে আদা। বিশেষ করে প্রেগনেন্সির শেষ সপ্তাহগুলিতে আদা খাওয়া কখনই উচিত নয়। প্রিম্যাচিওর শিশু জন্মের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পিত্তথলিতে পাথর থাকলে বা খাদ্যনালিতে ঘা হলে আদা খাওয়া চলবে না।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ