১৬ এপ্রিল রবিবার দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে কওমি মাদরাসা স্বীকৃতি কমিটির ১ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রণায় গঠিত ৩২ সদস্যের কমিটি নানা ইস্যুতে সেখানে বৈঠক করবেন। শনিবার দুপুরে বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেন বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।
জানা যায়, কমিটির চেয়াম্যান হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও বেফাকের সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর কার্যালয়ে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও স্বীকৃতির বিষয়ে অগ্রগতিসহ বেশ কিছু ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হবে।
বৈঠকে ৩২ সদস্যের কমিটির সবাই উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে মাওলানা মাহফুজুল হক আওয়ার ইসলামকে বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলেই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে সবাই বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
একই বিষয়ে কথা হয় জাতীয় দীনি মাদরাসা বোর্ডের কর্মকর্তা মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদের সঙ্গে। আওয়ার ইসলামকে তিনি জানান, হাটহাজারীর বৈঠকে আমাদের বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে আমি এবং মাওলানা মুহাম্মদ আলী সাহেব যাচ্ছি।
বৈঠকে কী বিষয়ে কথা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষের দাওরার পরীক্ষার্থীরা যেন মাস্টার্সের সনদ পায় সে জন্য আলোচনা হবে। এছাড়াও স্বীকৃতির কাজকে গতিশীল করতে আলোচনা হবে বৈঠকে।
গত ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমমান দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই সমমান দেওয়ার লক্ষ্যে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি (পদাধিকার বলে) ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে ৩২ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ কমিটি সনদবিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বলে বিবেচিত হবে। কমিটির নিবন্ধিত মাদরাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের সনদ মাস্টার্সের সমমান বলে বিবেচিত হবে। এ কমিটির অধীনে ও তত্ত্বাবধানে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কমিটি সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল ও সনদ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক উপকমিটি গঠন করতে পারবে।