আওয়ার ইসলাম: গত ১৩ ই এপ্রিল বিবিসি বাংলায় প্রকাশিতে এক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
“ক্ষোভ আর হতাশায় বিদ্ধ হাসিনার হেফাজত সমর্থন” শিরোনামে বিবিস বাংলার ঐ প্রতিবেদনে হেফাজতে ইসলামকে আক্রমণ করে সংবাদ ছাপাণো হয়। ঐ সংবাদের প্রতিবাদে বিবিসি বাংলার সম্পাদক বরাবর হেফাজতে ইসলাম বিবৃতি পাঠায়।
প্রতিবাদ লিপিটি নীচে হুবহু তুলে ধরা হল
গত ১৩ ই এপ্রিল আপনার অনলাইন পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয় “ক্ষোভ আর হতাশায় বিদ্ধ হাসিনার হেফাজত সমর্থন” শিরোনামে। সেখানে বলা হয়েছে, “বিশেষ করে ভাস্কর্য সরানো নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি (প্রধানমন্ত্রী), তা নিয়ে ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করছেন অনেকেই।” আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা সাংবাদিকতার ন্যুনতম এথিক্স না মেনে বারে বারে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক নিজের মন্তব্য বা রাজনৈতিক অবস্থানকে জনগণের অবস্থান বলে প্রচার করছে।
বিভিন্ন ইস্যুতে হেফাজতের নানান অবস্থান যেমন থাকবে, ঠিক তেমনি এই অবস্থানের বিরোধীও অনেকে থাকবেন। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম ‘বিবিসি বাংলা’ আমাদের বিরোধী বা পক্ষে কোনো অবস্থান নিবে; এটা আমাদের ধারণায় খোদ বিবিসিও আশা করবে না। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, এই পুরা রিপোর্টটাই করা হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক অবস্থান নিয়ে, আমাদের বিরুদ্ধে সাফাই গেয়ে।
যেমন- ছবির ক্যাপশনে লিখেছে, “ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত এ ভাস্কর্য সরানোর দাবি করছিলো হেফাজত ইসলাম”। ঐ ভাস্কর্য ন্যায়বিচারের প্রতীক হয়েছিল কী না, সেটা সঠিক হয়েছিল কী না– এর সাফাই দেয়া বিবিসি’র কাজ না। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ক্ষোভ আর হতাশার যে তথ্য দিয়ে শিরোনাম করলেন, সেটা তিনি কোথায় পেয়েছেন?
আমরা লক্ষ্য করেছি এর আগেও বিবিসির সাংবাদিক হেফাজত প্রশ্নে হেফাজতকে সাম্ভব্য অপরাধী সংগঠন হিসেবে আগাম অনুমান ধরে নিয়ে উস্কানিমুলক সাজেশন দিয়ে প্রশ্ন করতে এবং প্রায় সংবাদ প্রতিবেদনে হেফাজতে ইসলামের নাম উল্লেখ করার শুরুতে আপত্তিকর ও নেতিবাচকরূপে চিত্রিত করতে “কট্টরপন্থী” শব্দ যোগ করতে। বিবিসির স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবমুর্তি এতে দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বিবিসির এই পক্ষপাতমূলক সাংবাদিকতার নিন্দা জানায়। আমরা আশা করি, ‘বিবিসি বাংলা’ ভবিষ্যতে যে কোন পক্ষপাতিত্ব ও বিতর্কিত উপস্থাপনা পরিহার করে তার নিপরেক্ষতা বজায় রাখবে। আমাদের শান্তিবাদি অরাজনৈতিক সংগঠনকে ‘দানব হিসাবে চিত্রিত করা’ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।