আওয়ার ইসলাম : কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো আধুনিকায়ন ও নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি বেগম জিয়ার সমালোচনার উত্তর দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি ধর্মব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত পৃষ্ঠপোষক।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতি কার্যালয়ে খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো চুক্তি বা জোট হয়নি দাবি করে কাদের বলেন, ‘অনেকে কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির সঙ্গে হেফাজতের স্বীকৃতি বলে গুলিয়ে ফেলে। আমাদের স্বীকৃতি হচ্ছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল অবকাঠামোর মধ্যে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা। প্রায় ১৪ লাখ কওমি মাদ্রসার শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে থাকে। তাই আমরা কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছি।’
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো আধুনিকায়ন ও নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা হবে বলে উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রগতির যে পথ সেটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আর বাস্তবতাই হচ্ছে প্রগতি। বাস্তবতাকে বাদ দিয়ে কেউ প্রগতিশীল হতে পারে না। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির পরে আল্লামা শফি হুজুর গতকাল এক জনসভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা লাভ নয় কি?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খ্রিস্টান সম্প্রদায় ইস্টার সানডের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি করছেন। এ ছাড়া তারা মন্ত্রিসভায় তাদের অংশীদারত্ব, যোগত্য অনুযায়ী সরকারি চাকরির সুযোগ-সুবিধাসহ বেশ কিছু দাবি তুলেছেন। এগুলো নিয়ে আমি নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ- আলোচনা করব।’
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক শামীম, আমিনুল ইসলাম, ড. আবদুস সোবহান গোলাম, বিপ্লব বড়ূয়া প্রমুখ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া প্রমুখ।
বিবিসি সংবাদের প্রতিবাদ জানালো হেফাজত
ইসলামকে সম্মানিত করতে কওমি সনদের স্বীকৃতি আর তাতেই খালেদার গাত্রদাহ: হানিফ
-এআরকে