কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি সুষ্ঠুভাবে ও স্বল্পতম সময়ে বাস্তবায়নে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জামায়াতের অন্যতম শীর্ষ নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলেও দাবি করা হচ্ছে দলটির এক বিবৃতিতে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি নিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন। এতে বলা হয়, ‘কওমি মাদ্রাসার আলেমরা তাদের সনদের স্বীকৃতি পেতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন জামায়াতের অন্যতম শীর্ষ নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে কওমি মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়াদের শেষের দিকে এই স্বীকৃতি প্রদান করায় চারদলীয় জোট সরকার তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি প্রদান কওমি মাদ্রাসার আলেমদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি। গত ১১ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসার শীর্ষস্থানীয় ও বিশিষ্ট আলেম-ওলামাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। দেশবাসী দেখতে চায়— সরকার কোনোরকম রাজনৈতিক কূটকৌশল ছাড়াই কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে স্বচ্ছ ও সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয় কিনা।’
সরকারের এই স্বীকৃতির বিষয়ে কোনও দীর্ঘসূত্রিতা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ দেশবাসী মেনে নেবে না জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কওমি মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি দানের নীতিগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পাশাপাশি তাদের ইসলামী শিক্ষার ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনুযায়ী চলতে দিতে হবে। এর কোনও ব্যতিক্রম মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
কওমির শিক্ষার্থীরা কি অন্য দেশের মানুষ? তাদের চাকরি করার অধিকার নেই?
কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি একটি সময়োপযোগী ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ: মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী