শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

কওমি স্বীকৃতিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি: অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রধানমন্ত্রী কতৃক কওমি মাদরাসা সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। কওমি মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও আলোচনায় আসছেন বাম পাড়ার কথিত প্রগতিশীল শিক্ষাবিদ রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা। বিশেষ করে স্বীকৃতি ঘোষণা বৈঠকে সুপ্রিমকোর্টের সামনে মূর্তি সরানোর ব্যপারে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক চেতনার দাবিদার প্রগতিশীল মহলে ব্যপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিষয়ে দেশের প্রখ্যাত আলেম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদের  সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলামের প্রতিনিধি শাহনূর ইসলাম শাহীন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছেন বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি আলেমদের দীর্ঘদিনের দাবি। সরকার এটা মেনে নিয়েছে। দাওরা হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। এখানে বিরোধের কোনো বিষয় চোখে পড়ছে না।

অনেকেই সন্দেহ করছেন এই স্বীকৃতির পেছনে সরকারের ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে? বিশেষ করে সরকারি কোনো হস্তক্ষেপের আশঙ্কা আছে কিনা?

আপাত দৃষ্টিতে আমরা যেটা দেখছি সেটা ইতিবাচক। পরবর্তীতে কী হবে না হবে সেটা অবস্থার পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে বলা যাবে।

স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই সর্বত্র পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনা চলছে। কওমি সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও প্রগতিশীলতার দাবিদার শিক্ষাবিদ বুদ্ধিজীবীরাও আছেন এই তালিকায়। তারা বেশ ক্ষেপেছেনও। এটা কেন? এ ব্যপারে কী বলবেন?

আসলে একটা শ্রেণি তো সবসময়ই থাকে যারা আলেম ওলামা মসজিদ মাদরাসা দীন-ধর্মের বিরোধিতা করে। এরা মূলত ধর্ম বিদ্বেষ থেকেই বিরোধিতা করছে এবং করবেই।

গণভবনে ওলামাদের বৃহত বহরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। কারণ কী?

ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধি ছিল না বিষয়টা এমন না। চরমোনাই মদরাসাসহ যতগুলো মাদরাসা আছে সবগুলোই বেফাকের অন্তর্ভুক্ত। বেফাকের প্রতিনিধি থাকা মানেই আমাদের থাকা। বেফাকের সাথে আমাদের কোনো মতবিরোধ নেই। তাছাড়া বেফাকের বিভিন্ন বৈঠকে আমাদের প্রতিনিধি থাকে। এ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রীক দেবির মূর্তি সরানোর ব্যপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা বলছেন এটা নাকি সাস্কৃতিক পরাজয়। আসলেই কী মূর্তি বা ভাস্কর্য দেশীয় সংস্কৃতির অংশ?

কিছুতেই না। মূর্তি সম্পূর্ণ হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি। এটা তাদের ধর্মীয় আচারের সাথে সম্পৃক্ত কিছুতেই তা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না। বিশেষ কোনো জাতিগোষ্ঠীর ধর্মীয় প্রতীক ভিন্ন কারো উপর চাপিয়ে দেয়াটা মারাত্মক অন্যায়। এটা কখনোই মেনে নেয়া যায় না।

দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দিয়ে প্রজ্ঞাপন, ৩২ সদস্যের কমিটি

কওমির স্বীকৃতি; যেভাবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ