শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

কওমির শিক্ষার্থীরা কি অন্য দেশের মানুষ? তাদের চাকরি করার অধিকার নেই?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেছেন, মন্ত্রিসভায় থেকে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা উচিত নয়।

মন্ত্রিসভার সদস্যগণ মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে বা দলীয় ফোরামে কিংবা সরকার প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের কথাগুলো বলতে পারেন। কিন্তু তা না করে গণমাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে মন্তব্য করতে পারেন না।

তিনি বলেন, আমাদের এমপি-মন্ত্রীদের একটা কথা পরিষ্কার মনে রাখা দরকার, আজ জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান বলেই আপনি এমপি-মন্ত্রী আছেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে আপনিও মন্ত্রী হতে পারতেন না। কাজেই মন্ত্রীদের উচিত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে যে কোনো বক্তব্য দেওয়ার আগে তারা শপথ ভঙ্গের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। আর যদি সরকারের বা সরকার প্রধানের সিদ্ধান্ত ভালো না লাগে বিদায় নিতে পারেন। গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুর রহমান বলেন, বিকাল ৫টার মধ্যে খোলা জায়গায় বৈশাখী অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করা হয়েছে। এতে দোষের কিছু দেখি না। কারণ আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। একটি বিশেষ গোষ্ঠী নির্বাচিত সরকারকে হঠাতে জঙ্গিবাদের ইন্ধন দিচ্ছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকায় বড় ধরনের নাশকতা করতে পারছে না।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ বিষয়টি হঠাৎ করে আলোচনায় এসেছে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। এতে অনেকেই সরকারের সমালোচনা শুরু করেছেন। তারা কি অন্য দেশের মানুষ? তাদের চাকরি করার অধিকার নেই? পড়ালেখা শেষ করে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে না। বিষয়টি অমানবিক। সে কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বীকৃতি দিয়েছেন। এখানে হেফাজতকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। হেফাজত আর কওমী মাদ্রাসা এক নয়। কওমী মাদ্রাসার সবাই হেফাজত করে না। বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে।

আবদুর রহমান বলেন, হেফাজতের সঙ্গে কোনো আপস হয়নি। তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ আর আমাদের মতাদর্শ এক নয়। এ নিয়ে পানি ঘোলা করার কোনো দরকার নেই। যেসব মন্ত্রী, নেতা ও কতিপয় ব্যক্তি কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতি, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য সরানোর বিষয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছেন তারা ভেবেচিন্তে কথা বলুন। বাস্তবতাটা বুঝতে হবে। তিনি বলেন, আজ প্রগতিশীলতার নামে অনেক কথাবার্তা বলা শুরু হয়েছে। একটা কথা পরিষ্কার—আজ জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই আপনারা কথা বলার সাহস পাচ্ছেন। একটু পেছনে ফিরে তাকান, দেখবেন অতীতে কী হয়েছে। আপনারা কী এমন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতেন?

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

হেফাজত ইস্যুতে ওরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করছে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ