কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকরের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। যেকোনো সময়ে ফাঁসি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার খবর গত সোমবার দুই আসামিকে জানানো হয়। তাঁদের স্বজনদেরও কারাগারে এসে শেষ দেখা করতে গতকাল সকালে বার্তা পাঠানো হয়। আজ সকালে মুফতি হান্নানের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও বড় ভাই ভোরে কারাগারে এসে পৌঁছান। এর আগে কেউ মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা করতে আসেনি।
এদিকে ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, কারাগারে জল্লাদ ও ফাঁসির মঞ্চ সবকিছুই প্রস্তুত আছে। এরই মধ্যে ফাঁসির মহড়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
এর আগে ভোর ৬টার দিকে মুফতি হান্নানের সঙ্গে শেষ দেখা করতে কারাগারে আসেন তাঁর স্ত্রী রুমা আক্তার, দুই মেয়ে নাজনীন ও নিশাত এবং বড় ভাই আলিউজ্জামান। সাক্ষাৎ শেষে সকাল সোয়া আটটার দিকে তাঁরা কারাগার ত্যাগ করেন।
সাক্ষাতের পর আলিউজ্জামান কারা ফটকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুফতি হান্নান পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, যা কিছু হয়েছে আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব মামলা মিথ্যা। এর বিচার আল্লাহই করবেন।’
এ সময় দুই মেয়েকে দেখাশোনার জন্য আলিউজ্জামানকে অনুরোধ করেন মুফতি হান্নান।
এদিকে গতকাল বিকেল থেকে কারাগার ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা। সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হয়।
প্রসঙ্গ কওমি স্বীকৃতি: ‘বন্যরা বনেই সুন্দর’




