মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ইসির নতুন নির্দেশনা ইরান সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম: চীন বান্দরবানে দুর্গম পাহাড়ে অভিযানে কুকি-চিনের ৯ সদস্য গ্রেফতার আজমিরীগঞ্জে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা শিগগিরই বাস্তবায়ন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করা নিয়ে যা বলছে সৌদি মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে যোগদান করলেন মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী খুলনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নেতার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

’কওমির মেধাবীদের আলিয়া-স্কুলের পিছু পিছু ঘুরতে হবে না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

madrasha5আবু নাঈম ফয়জুল্লাহ: আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কওমী মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। স্বীকৃতির অগ্রগতি নিয়ে মাদরাসার ভেতরে বাইরে নানামুখি আলোচনা চলছে। বিভিন্ন কওমী মাদরাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝেও এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আশা, উৎকণ্ঠা ও স্বপ্ন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত স্বীকৃতি নিয়ে তাদের মনে আকাশ কুসুম স্বপ্ন যেমন আছে সাথে আছে ঐতিহ্য ও স্বকীয়তার নানা ভয়।

এ বিষয়ে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্রদের সাথে কথা বলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার কাফিয়া জামাতের শিক্ষার্থী রেজাউল হককে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘আমরা তো এমন একটা সময়েরই অপেক্ষায় ছিলাম যখন আমরা এ দেশের প্রতিটি ধর্মীয় সেক্টরে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাব।’

জামিয়া রাহমানিয়ার ফজিলত বর্ষের মেধাবী ছাত্র মজেদুর রহমানের কাছে স্বীকৃতির অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আসলে আমরা স্বীকৃতির খারাপ দিকগুলো ভাল করেই জানি। কিন্তু স্বীকৃতি হলে এর ভাল দিকগুলো কী কী, আমরা কি আদৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারব কিনা, কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের সম্ভাবনার পথ খুলবে তা আমাদের অধিকংশের কাছেই অস্পষ্ট। অনেকে হয়ত জানেই না স্বীকৃতি হলে আমাদের লাভটা কী? স্বীকৃতি থাকা না থাকার মধ্যে পার্থক্যটাই বা কী? তাই এই বিষয়গুলোকে আগে স্পষ্ট করে সামনে আনা জরুরি।’

একই মাদরাসার ইফতা বর্ষের মাওলানা বেলাল হোসাইন মনে করেন, ‘স্বীকৃতি যতই স্বচ্ছতার সাথে আসুক তা একদিন আমাদের জন্য আলিয়া মাদরাসার পরিণামই বয়ে আনবে।’

ফজিলত জামাতের মাহমুদুল হক জালিস খুব উচ্ছাসের সাথে বলেন, ‘বিষয়টা খুবই আনন্দের যে আমাদের স্বকীয়তা ঠিক রেখেই সরকার স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে। আরো আনন্দের যে কওমীর মেধাবী ছেলেদের সনদের জন্য আলিয়া বা স্কুলের পিছু পিছু ঘুরতে হবে না। এই দুঃখজনক দ্বিমুখী মনোভাব দূর হবে।’

মালিবাগ জামিয়ার দাওরায়ে হাদিসের মুহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, ‘আলেমদের ঐক্যটাই আমার কাছে খুব ভাল লাগছে। এখন আমরা আমাদের ভেতরের অনিয়মগুলো অনায়াসেই মুকাবেলা করতে পারব। এবং সামনে এগুতে পারব।’

এমনই নানামুখি স্বপ্ন, ভয় ও আশঙ্কার কথা উঠে আসে কওমী পডুয়া ছাত্রদের থেকে। লক্ষণীয় বিষয় হল- স্বীকৃতির লাভ ক্ষতি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা অধিকাংশেরই নেই। কী কী সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে, লাভ না ক্ষতি, ক্ষতি হলে ক্ষতির সুস্পষ্ট দিকগুলো কী কী এসব বিষয় সবার কাছেই অস্পষ্ট। তবু সবার আশা এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। সমস্যাকে পিছনে ফেলে আমাদের সম্ভাবনার পথে হাঁটতে সাহায্য করবে। আমাদের চর্চিত জ্ঞানের আলো বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।

আরআর

মঙ্গলবার বেফাকের জরুরি বৈঠক

সৌদিতে মজেছেন মঈন আলি

স্বীকৃতির ঘোষণা অনুষ্ঠানে যারা থাকছেন


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ